নাগরিক সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করে প্রস্তাব আনার পর তা বিধানসভায় বৃহস্পতিবার পাশ করিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন৷ এরপর শুক্রবার তিনি দেশের গণতন্ত্র এবং সম্প্রীতি রক্ষার আর্জি জানিয়ে ১১ জন মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন তিনি ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরবিন্দ কেজরিলাল সহ অন্য মুখ্যমন্ত্রীদের বিজয়ন চিঠিতে লিখেছেন, ‘‘সংশোধিত নাগরিক আইন২০১৯ এর পরিপেক্ষিতে এদেশের বৃহৎ অংশের লোকজনের মনের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে ৷ ফলে এই মুহূর্তে একতা রক্ষা করা দরকার সকল ভারতীয়ের মধ্যে, যারা চায় আমাদের গণতন্ত্র এবং সম্প্রীতি রক্ষা করতে বলে জানান তিনি ৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরবিন্দ কেজরিলাল সহ অন্য মুখ্যমন্ত্রীদের বিজয়ন চিঠিতে লিখেছেন, ‘‘সংশোধিত নাগরিক আইন২০১৯ এর পরিপেক্ষিতে এদেশের বৃহৎ অংশের লোকজনের মনের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে ৷ ফলে এই মুহূর্তে একতা রক্ষা করা দরকার সকল ভারতীয়ের মধ্যে, যারা চায় আমাদের গণতন্ত্র এবং সম্প্রীতি রক্ষা করতে বলে জানান তিনি ৷
পিনারাই বিজয়নের সরকার যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধী তা গত কয়েকদিন ধরেই ক্রমশ প্রকট হচ্ছে ৷ কারণ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রত্যাহার করা হোক- কেরল বিধানসভায় এমন দাবি তোলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। আর মঙ্গলবার কেরল বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে সিএএ বিরোধী প্রস্তাবে সম্মতি দেয় রাজ্য মন্ত্রীসভা। এই প্রস্তাবে সিপিএম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ এবং বিরোধী কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ এই প্রস্তাব সমর্থন করে ৷ এক্ষেত্রে বিজেপির একমাত্র বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী ও রাজাগোপাল হলেন একমাত্র ব্যক্তি যিনি ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন ৷
সারা দেশে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছিলেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন দেশের ধর্ম নিরপেক্ষতাকে ক্ষুণ্ণ করে। ধর্মের আধারে নাগরিকত্ব দেশবাসীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে বলেই তিনি দাবি করেন। এই বিল সংবিধানের মৌলিক পরিকাঠামকে লঙ্ঘন করে বলে তিনি জানান। দেশের নাগরিকদের মধ্যে এই আইন ঘিরে যে অস্থিরতা শুরু হয়েছে সে কথা মাথায় রেখেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই আইন প্রত্যাহাত করা উচিত বলে জানান কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বক্তব্য শেষে, তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর সরকার এই রাজ্যে কোনও রকম ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি হতে দেবে না ৷
Be the first to comment