অ্যামেরিকার বিমান হানায় ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ড কোরের কাদ্স ফোর্সের কমান্ডার কাসেম সোলেইমানির মৃত্যু হয়েছে ৷ সোলেইমানিকে এবার দিল্লি হামলার জন্য দায়ি বলে দাবি করলেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ তাঁর কথায়, পশ্চিম এশিয়ায় গত ২০ বছর ধরে সন্ত্রাস চালাচ্ছিল সোলেইমানি ৷
ফ্লোরিডার পাম বিচে মার-আ-লাগো রিসর্টে বিমান অভিযান প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, সোলেইমানি নিরীহ মানুষের মৃত্যু জন্য দায়ি ৷ দিল্লি ও লন্ডনের হামলার ছকও কষেছিল সে’ই ৷ সোলেইমানিকে হত্যার জন্য মিজ়াইল হানার আদেশ দেন ট্রাম্প ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”সোলেইমানির হাতে মৃত নিরীহ মানুষগুলোর কথা মনে করার দিন আজ ৷ সন্ত্রাসের অবসান হল ৷”
দিল্লিতে কোন হামলার কথা ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন, সে কথা তাঁর বক্তৃতায় তা স্পষ্ট করেননি, তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ২০১২ সালে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর স্ত্রীর গাড়িতে হামলার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি ৷ ওই হামলায় তাল ইয়েহোশুয়া কোরেন আহত হন ৷ অস্ত্রোপচার করতে হয় তাঁদের ৷ তাঁর চালক ও পথচারীরাও আহত হন ৷
ট্রাম্পের কথায়, ”যে অভিযান কাল হয়েছে, তা আরও আগে করা উচিত ছিল ৷ তাহলে আরও কিছু প্রাণ বাঁচত ৷ ইরানে সম্প্রতি হাজারেরও বেশি সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন শুধুমাত্র সোলেইমানির জন্য ৷ ” ট্রাম্পের কথায়, যুদ্ধ থামাতেই বিমান হানার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি ৷ যুদ্ধ শুরু করতে নয় ৷ ইরানের নাগরিকদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে তাঁর ৷ এই প্রসঙ্গে ইরানের ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট বলেন, ভবিষ্যৎ আসলে ইরানেরই ৷ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সহযোগিতা চান যাঁরা, তাঁদেরই জন্য ইরান ৷ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বাধিয়েছে যে সব সন্ত্রাসবাদীরা, ইরান তাদের জন্য নয় ৷
ট্রাম্প বলেন, বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসবাদীকে হত্যা করা হয়েছে তাঁর নির্দেশেই ৷ প্রতিরক্ষা দপ্তরের তরফে বলা হয়েছে, সোলেইমানি অ্যামেরিকার কূটনীতিক ও অন্যদের উপর হামলার ছক কষছিল ৷ সে ও তার বাহিনী অ্যামেরিকার নাগরিকদের মৃত্যুর জন্য দায়ি ৷
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১৮ সালের মে মাসে ট্রাম্প আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যান এবং ইরানের উপরে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেন । এরপর থেকেই দু’দেশের মধ্যে সংঘাত বেড়েছে আরও ৷ সেই প্রেক্ষিতেই ইরানকে ‘পাল্টা জবাব’ দিল অ্যামেরিকা ৷ ”
Be the first to comment