কোটায় হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০৭, উদ্বিগ্ন প্রশাসন

Spread the love

জে কে লোন হসপাতালে ফের শিশু মৃত্যু ৷ চিকিৎসার সময় গতকাল মৃত্যু হয় আরও তিন জন শিশুর ৷ নতুন বছরের প্রথম দিন মৃত্যু হয়েছে তিন জনের ৷ ২ জানুয়ারি মৃত্যু হয়েছে আরও এক শিশুর ৷ এদের সবাইকে নিওন্যাটাল ICU এবং FBNC তে ভরতি করা হয়েছিলো৷

১ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারির মধ্যে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০৭-এ ৷ যদি শেষ ছয় বছরের হিসাব দেখা যায়, তাহলে মোট ৬ হাজার ৬৪৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে জে কে লোন হাসপাতালে ৷ বেশিরভাগ শিশু কোটা, বারানড, বুন্দি, জালাওয়ার, চিত্তগড় এলাকা থেকে ভরতি হয়েছিল হাসপাতালে ৷

ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির নিশানায় শাসক দল কংগ্রেস৷ মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলতর সরকার এই বিষয়ে ব্যর্থ ৷ চাপে পড়ে সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী রঘু শর্মা ও পরিবহন মন্ত্রী প্রতাপ সিং কোটায় যান। জেলার প্রশাসনিক প্রধান ও মেডিক্যাল কলেজ স্টাফের সঙ্গেও বৈঠক করেন তাঁরা৷

আজ কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রতিনিধি দল কোটায় আসে ৷ হাসপাতাল ঘুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তাঁরা ৷ এদিকে লোকসভার স্পিকার ও কোটার সাংসদ ওম বিড়লা কোটায় জেকে লোন হাসপাতালে আসেন ৷ মৃত শিশুদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি ৷ মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত বলেন, ‘‘দেশের মধ্যে আপনি যেখানেই যাবেন, হাসপাতালে কিছু না কিছু খামতি নজরে আসবেই ৷ তার উপর মিডিয়া এবং সাধারণ মানুষ আলোচনা করলে তবেই সেইগুলো সরকারের নজরে আসবে ৷’’

এদিকে শিশু মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির সুরেই BSP নেত্রী মায়াবতী রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন ৷ রাজস্থানের শিশুমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক আসরে নেমেছেন যোগী আদিত্যনাথও। ঘটনার প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ”কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধি এবং সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি নিজেরা মহিলা হয়েও রাজস্থানের কোটা হাসপাতালে মৃত শিশুদের মায়ের দুঃখ বুঝতে পারলেন না, এটা দুঃখজনক।”

হাসপাতালের পক্ষ থেকেও কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷ সাত জন নার্সিং স্টাফকে ইতিমধ্যেই বরখাস্ত করা হয়েছে এবং ১৯ জন নতুন কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে ৷ এছাড়া হাসপাতালে নতুন অক্সিজেন লাইনের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে ৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*