ইরান জুড়ে একটাই স্লোগান প্রতিশোধ চাই। দেশের মানুষ মার্কিন হামলায় নিহত জেনারেল কাসেম সোলেমানির জয়গান গাইছেন, স্লোগান। অন্যদিকে মার্কিন পতাকা পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। ইরানের সামরিক বাহিনী যোগ্য জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। পালটা প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি আমেরিকার তরফেও। এই অবস্থায় ক্রমশ চড়ছে উত্তেজনার পারদ। যে কোনও মুহূর্তে বেঁধে যেতে পারে আমেরিকা এবং ইরানের মধ্যে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ। যখন গোটা বিশ্ব যুদ্ধের প্রহর গুণছে, ঠিক সেই সময় ইরানের মসজিদের চূড়ায় ‘যুদ্ধের লাল ঝাণ্ডা’ ওড়াল ইরান। যুদ্ধের জন্যে আমরা প্রস্তুত…লাল ঝান্ডা উড়িয়ে আমেরিকাকে বার্তা তেহরানের।
গত শনিবার ইরাকের বাগদাদে মার্কিন দূতাবাস ও সালাহউদ্দিন প্রদেশে মার্কিন সেনাদের বালাদ বিমান ঘাঁটিতে রকেট হামলার ঘটনা ঘটে। এর কয়েক ঘণ্টা পর ইরানের কম প্রদেশের পবিত্র মসজিদ জামকারান’র সর্ব্বোচ্চ গম্বুজে রক্তলাল পতাকা ওড়ায় ইরান। যদিও বাগদাদের মার্কিন ঘাঁটিতে কারা হামলা চালিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। ওই হামলায় একযোগে ৫টি রকেট ছোঁড়া হয়। এতে এখনও পর্যন্ত ৫ জন আহত বলে জানা গিয়েছে। একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো ইরান জামকারান মসজিদে রক্তলাল পতাকা ওড়ালো। পতাকাটিতে লেখা, ‘যারা হোসেনের রক্তের বদলা নিতে চায়’।
এই পতাকা ওড়ানোকে সোলেমানি হত্যার দায়ে আমেরিকার ওপর ইরানের বদলা নেওয়ার অঙ্গীকার হিসেবে দেখা হচ্ছে। সম্ভাব্য যুদ্ধের হুঁশিয়ারি হিসেবেও দেখা হচ্ছে এই পতাকাকে। শিয়া সংস্কৃতিতে লাল পতাকা দিয়ে অন্যায় রক্তপাতের বদলা নেওয়ার প্রতীক।
বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন হামলায় নিহত হন ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এলিট কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেমানি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সোলেমানিকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। ওই ঘটনায় ইরানের সর্ব্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি, সে দেশের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জারিফ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আমির হাতামি, ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রাক্তন কমান্ডার মোহসেন রেজায়িসহ ইরানের উর্ধ্বতন পর্যায়ের বিভিন্ন নেতা সোলেমানি হত্যার ঘটনায় আমেরিকাকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন।
Be the first to comment