রোজদিন ডেস্ক :-
টিউশন থেকে ফেরার পথে এক চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ এলো কুলতলি থানার কৃপাখালী হালদার পাড়ার মোড় এলাকা থেকে। ঘটনাস্থলে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একেবারে রণক্ষেত্র গোটা এলাকা। মৃতদেহ উদ্ধারের পরেই জনরোষ শুরু হয়ে যায়। তার থেকে পুলিশের উপর জনতার ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় পুলিশ ক্যাম্পে। এলাকার মহাকুমা শাসকও মানুষের তাড়া খেয়ে পালিয়ে বাঁচেন বলে শোনা গিয়েছে।
ঘটনার পরেই জয়নগর মহিষমারি ফাঁড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, একেবারে ঝাঁটা হাতে পুলিশের দিকে ধেয়ে যান গ্রামের মানুষ। ভাঙচুর করা হয়েছে অভিযুক্তের বাড়ি। একেবারে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি এলাকা। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার দুপুরে টিউশন পড়তে যায় চতুর্থ শ্রেণীর ওই ছাত্রী। এরপর বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে গেলেও বাড়ি ফেরেনি সে। এমনকি গভীর রাত পর্যন্ত পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির পরেও ওই ছাত্রীর খোঁজ মেলেনি।
এরপরেই গভীর রাতে জয়নগর থানা এলাকার কৃপাখালি এলাকায় একটি জলাজমি থেকে ওই ছাত্রীর নিথর দেহ উদ্ধার হয়। ১০ বছরের ওই কিশোরীর দেহে একাধিক আঘাতে চিহ্ন দেখতে পান এলাকার মানুষজন। এলাকাবাসীর দাবি ধর্ষণ করে খুন করে নাবালিকাকে জলাভূমিতে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপরেই একেবারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এই ঘটনায় মুস্তাকিন সর্দার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপরেই উত্তেজিত জনতা মুস্তাকিনের বাড়ি ভাঙচুর করে। গোটা এলাকা স্থানীয় মানুষজন বাঁশ দিয়ে ঘিরে অবরোধ শুরুন করেছেন।
অন্যদিকে ঘটনার পরেই বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন ।পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত। গোটা এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। জেরা করা হচ্ছে অভিযুক্তকে।
Be the first to comment