রোজদিন ডেস্ক :-
বিহারের মুজাফফরপুরের একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করলেন প্রধান শিক্ষক। এমনকি সে তাকে ধর্ষণ করতেও সফল হয়, কিন্তু মেয়েটি তখন চিৎকার শুরু করে।
মেয়েটির আওয়াজ শুনে দুই মহিলা সেখানে আসেন। তাদের দেখে প্রধান শিক্ষক পালিয়ে যান। ঘটনাটি মেয়েটি তার পরিবারকে জানালেই খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রধান শিক্ষক বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। বিষয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রঘুনাথপুর ডোনার পরদনসীর। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ মাজহার জিশান। তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার ওই ছাত্রী স্কুলে গিয়েছিল। সেখানে ওই ছাত্রীকে স্কুলের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন প্রধান শিক্ষক। মেয়েটি জানায় সে স্কুলে খেলছিল, এমন সময় স্যার তাকে ক্লাসে ডেকে জানালা বন্ধ করতে বলেন।
মেয়েটি জানায়, “আমি জানালা বন্ধ করার সাথে সাথে তারা গেট বন্ধ করে দিল। এর পর সে আমার কাপড় খুলে ফেলল। আমি চিৎকার করলে কয়েকজন মহিলা আসেন। এর পর সে পালিয়ে যায়।”
রোববার বিদ্যালয়ে সভা ডাকেন স্থানীয় লোকজন। সভায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে ডাকা হয়। কিন্তু তিনি এগিয়ে আসেননি। এর পর গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যালয়ে তোলপাড় শুরু করে। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
এরপর মেয়েটির পরিবার থানায় পৌঁছে মাজহার জিশানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। সাকরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান- মেয়েটির পরিবারের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে খুঁজতে পুলিশের একটি দল নিয়োজিত রয়েছে।
Be the first to comment