রোজদিন ডেস্ক :- চলতি বছরের শেষ অধিবেশনের শুরুতেই কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের কড়া ভাষায় তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি বছরের শেষ শীতকালীন অধিবেশনে সমস্ত সাংসদকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন তিনি।
এদিন তিনি বিরোধী সাংসদের উদ্দেশ্যে বলেন, “সংসদে সাংসদদের বলার অধিকার কেড়ে নিচ্ছেন কয়েক জন। এঁরাই সংসদে হাঙ্গামা বাঁধাচ্ছেন। ফলে বলার সুযোগ পাচ্ছেন না নতুন সাংসদেরা। সংসদের নিয়ন্ত্রণ এই সাংসদেরা হাতে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।”
এদিন প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণের শুরুতেই বলেন, ‘অনেক আশা নিয়ে বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে। ভারতের প্রতি গোটা পৃথিবীর যে সম্মান বেড়েছে, গুরুত্ব বেড়েছে, তা আরও বাড়ানোর চেষ্টা জারি রাখতে হবে। বিশ্বের কাছেও এই বার্তা দিতে হবে, যে জনগণের ভাবনাকে গুরুত্ব দেয় ভারতের সংসদ।’
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে আরও কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচন হয়েছে। রাজ্যগুলি সমর্থন জানিয়েছে আমাদের। আমরাও জনতা-জনাদর্নের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করার জন্য পরিশ্রম করি। আমি বিরোধীদের বলছি, সংযত থাকতে। তাঁদেরও একাংশ চান সংসদে কাজ হোক। কিন্তু কয়েকজন কারও কথা শোনে না। আশা করি, সকল দলের নতুন সাংসদদের সুযোগ দেওয়া হবে।’
এরপরই মোদী সরাসরি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “সংসদে জনগণের স্বার্থে কিছু বলেন না বিরোধীরা। মানুষ তাদের (বিরোধীদের) বার বার প্রত্যাখ্যান করছেন। গণতন্ত্রের শর্তই হল আমরা মানুষের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাব এবং তাদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করব।” যদিও এদিন মোদী তাঁর ভাষণে একাংশ বিরোধী সাংসদের প্রশংসাও করে বলেন, “বিরোধী সাংসদদের কেউ কেউ সংসদে দায়িত্বশীল আচরণ করেন। তাঁরা চান সংসদের কাজ মসৃণ ভাবে পরিচালিত হোক। কিন্তু যাঁরা মানুষের দ্বারা বার বার প্রত্যাখ্যাত, তারা সঙ্গীদের বক্তব্যও উপেক্ষা করে।”
এদিন প্রধানমন্ত্রী সব শেষে বলেন, ‘বছরের শেষ লগ্নে দাঁড়িয়ে ২০২৫-কে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশ। সে সময়ে এই অধিবেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সংবিধানেরও ৭৫ বছর পূর্ণ হয়েছে, যা গণতন্ত্রের উজ্জ্বল দিন।
উল্লেখ্য, এমন সময় সংসদে বসতে চলেছে চলতি বছরের শীতকালীন অধিবেশন, যখন মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডের বিধানসভার নির্বাচনের ফল শাসক ও বিরোধী দু’পক্ষকেই স্বস্তিতে রেখেছে। এমত অবস্থায় দুই শিবিরই তাদের ইস্যুগুলো নিয়ে সংসদে ঝড় তোলার চেষ্টা করবে।
যদিও অনেকেই মনে করছেন, এই শেষ অধিবেশনের আগে আদানির ঘুষ বির্তক এবং মণিপুরে পরিস্থিতি সংসদে একটু হলেও বিরোধীদের চাপে অস্বস্তিতে পড়তে পারে সরকার। অন্যদিকে, ওয়াকফ বিল নিয়ে দুই শিবিরের মধ্যে উত্তাল হবে সংসদ তা বলার অপেক্ষাই রাখে না।
Be the first to comment