রোজদিন ডেস্ক:- কলকাতার তরুণী, কর্মসূত্রে থাকেন মুম্বাইতে, সেখান থেকে দেখা করতে গেলেন তার প্রেমিকের সাথে পাটনায়। প্রথম ফোনে ভালো-ভালো কথা, প্রেমিকাকে নিজের কাছে আসার আবেদন। এরপরেই শুরু আসল খেলা। বন্ধুদের সঙ্গে যোগসাজশ করে তরুণীর চরম সর্বনাশ করলেন গুণধর প্রেমিক। ঘটনাটি ঘটেছে পাটনায়।
বিয়ের অজুহাতে তাঁকে ডেকে আনেন তাঁর প্রেমিক। এরপর বন্ধুদের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করে তরুণীর চরম সর্বনাশ ঘটায় সেই প্রেমিক। ঘটনাটি পাটনার কদমকুয়ান এলাকার। নির্যাতিতা ওই তরুণী কলকাতার বাসিন্দা।
তথ্য অনুযায়ী, কলকাতার বাসিন্দা নির্যাতিতা তরুণী চাকরি সূত্রে মুম্বাইয়ে থাকেন। তাঁর প্রেমিক তাঁকে মিষ্টি-মধূর কথাবার্তায় ভুলিয়ে পাটনায় আমন্ত্রণ জানায়। প্রেমিকের ডাকে সাড়া দিয়ে ২০ অক্টোবর মুম্বাই থেকে পাটনা পৌঁছান তরুণী। আসার পর তরুণী একটি গার্লস হোস্টেলে থাকতে শুরু করেন। প্রেমিকই থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। এসবের মাঝেই একদিন প্রেমিক দীপক তার মোবাইল বন্ধ করে দেয়।
প্রেমিক দীপক মোবাইল বন্ধ করে দিলে প্রেমিকা চিন্তিত হয়ে পড়েন। তিনি ভাবেন এই অচেনা শহরে তিনি কার ভরসায় থাকবেন! এরপর তিনি তাঁর প্রেমিকের এক বন্ধু শ্রবণকে ফোন করেন। শ্রবণ ওই তরুণীকে একটি হোটেলের কক্ষে ডাকে। ২৭ অক্টোবর তরুণী তাঁর প্রেমিকের বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে হোটেলে পৌঁছান। অভিযোগ, সেখানে প্রেমিকের বন্ধু শ্রবণ তাঁর পানীয়তে মাদক মিশিয়ে পান করায়। পানীয় পান করে তিনি অজ্ঞান হয়ে যায়। পরের দিন যখন তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে তখন তার শরীরে এক টুকরো কাপড়ও ছিল না। জ্ঞান ফেরার পর তরুণী দেখেন, তাঁর পাশেই বিছানায় ঘুমাচ্ছে প্রেমিক দীপক। তাঁর বুঝতে দেরি হয় না যে, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন এবং তাঁর সম্মান নষ্ট হয়েছে। সেই সময় তাঁর প্রেমিক দীপক তাঁকে মুখ বন্ধ রাখার হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। তবে, তরুণী সাহস সঞ্চয় করে কদমকুয়ান থানায় পৌঁছায়। প্রেমিক ও তাঁর বন্ধু শ্রবণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়েই পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে; অভিযুক্ত শ্রবণ কুমারকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক, তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
Be the first to comment