স্বাধীনতার মধ্য রাতে রাস্তার দখল নিতে চলেছেন মহিলারা

Spread the love

আবারও রাতের দখল নিতে চলেছে মহিলারা। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে কোচবিহার থেকে কলকাতা সমস্ত জায়গায় রাতের রাস্তার দখল নিতে পথে নামতে চলেছে মহিলারা। আরজিকর হাসপাতালে ছাত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় রাজ্য তথা দেশ জুড়ে চলছে প্রতিবাদ। এই অবস্থায় রাতের পথ দখল করতে নামতে চলেছেন মহিলারা। তাঁদের দাবি, এভাবেই ছিনিয়ে নেবেন নিজেদের নিরাপত্তার অধিকার। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গিয়েছে এহেন পোস্টে ও পোস্টারে। প্রতিটি মহিলাকে আহ্বান করা হয়েছে এই আন্দোলনে সামিল হতে।
জানা গেছে, ১৪ আগস্ট রাত ১১.৫৫ মিনিটে সমস্ত জায়গা থেকে শুরু হবে এই মিছিল। তবে শুধু শহর কলকাতা নয়, একই সঙ্গে মহিলারা জমায়েত করবেন জেলার বিভিন্ন জায়গায়।
প্রসঙ্গত, রাতে কেন শুধু নারী নির্যাতনকারী দুষ্কৃতীরা অবাধে ঘুরে বেড়াবে, কেন মেয়েরা রাতে ভয়ে সিঁটিয়ে থাকবে— এই প্রশ্ন তুলেই ‘টেক ব্যাক দ্য নাইট’ বলে একটি আন্দোলন শুরু হয় পাঁচ দশক আগে। ১৯৭৫ সালে আমেরিকার ফিলাডেলফিয়ায় রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে জনৈকা মাইক্রোবায়োলজিস্টকে খুনের ঘটনায় মেয়েদের পথে নামার ঘটনাটি এই আন্দোলনের প্রথম দিকের একটি কর্মসূচি। এর পরে নানা ঘটনায় পৃথিবীর নানা দেশে এ ভাবে পথে নেমেছেন মেয়েরা। উল্লেখ্য, ঠিক এক যুগ আগে দিল্লি গণধর্ষণ-কাণ্ডের বীভৎসতার পরেও এই দাবি উঠেছিল এ শহরে। ‘রাতের দখল নিন’ বা ‘রিক্লেম দ্য নাইট’ বলে ডাক দিয়ে কলকাতার পথে নামায় মেয়েরা তখনও নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০১২-র শেষ রাতেও দিল্লির নির্ভয়া-কাণ্ডের পরে কলকাতায় দু’-তিন বার অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস সংলগ্ন অঞ্চলে এভাবেই পথে নামেন মেয়েরা।

আরও একবার আরজি করের ঘটনাটির পরে কলকাতার পথে নামার ডাক দেওয়া হয়। ‘রাত দখলের’ প্রথম ডাক দিয়েছেন প্রেসিডেন্সি কলেজের এক প্রাক্তনী, রিমঝিম সিনহা। তিনি দু’দিন আগে সমাজ মাধ্যমে এই ডাক দেন, এরপরই ওই পোস্টে শেয়ার-কমেন্টের ঝড় বয়ে যায়। রাত দখলের ডাক ছড়িয়ে পড়ে দিকে দিকে। বলতে গেলে, সোশ্যাল মিডিয়াতেই সংগঠিত হয় এই অভিযান। কলকাতার নানা এলাকা, এমনকি, জেলাতেও কিছু জায়গায় পথে নামার ডাক দিচ্ছেন মেয়েরা। যাদবপুর, গড়িয়াহাট, কলেজ স্ট্রিট, অ্যাকাডেমি চত্বর থেকে শখেরবাজার, ডানলপ, উত্তরপাড়া, বালি, মধ্যমগ্রাম, নৈহাটি, বর্ধমান দুর্গাপুর আসানসোল, হাওড়া, শ্রীরামপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় পথে নামার ডাক উঠেছে। তবে আহ্বায়কদের আর্জি, কেউ যেন কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা হাতে না-নেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*