মরশুমের প্রথম ডেঙ্গিতে মৃত্যু কলকাতার যুবকের

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :-  উৎসব মিটতেই কলকাতায় মাথা চাড়া দিচ্ছে ডেঙ্গির প্রভাব। শুক্রবার ভোররাতে বছরে প্রথম কলকাতায় মৃত্যু হল এক যুবকের।
জোড়াবাগান এলাকার বসিন্দা বছর ৩৬-এর বিট্টু সিংহ শুক্রবার রাতে জ্বর নিয়ে আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি হয়। এদিন সকালে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা যাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে জ্বরে ভুগছিলেন বিট্টু। সঙ্গে পেটে ব্যথা, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় র‍্যাশ। এরপরই স্থানীয় এলাকায় ডাক্তার দেখালে তিনি হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। এরপরই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আরজি করে। সেখানেই শুক্রবার ভোর রাতে তাঁর মৃত্যু হয় বলেই জানা যায়।
হসপাতাল সূত্রে খবর, ওই যুবকের রক্তের প্লেটলেট প্রায় ৪০ হাজারের কাছাকাছি নেমে আসে।
প্রসঙ্গত, ডেঙ্গিতে কলকাতায় মরশুমের প্রথম মৃত্যু হলেও, বাংলায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে বলি তিনজন। কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ঝড়ের গতিতে বাড়ছে। এখন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার। রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যাটা ১৫ হাজারেরও বেশি।
উল্লেখ, কলকাতা লাগোয়া বিধাননগরে অবশ্য ইতিমধ্যেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ভিআইপি রোডের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। গত শনিবার মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতের নাম শিবানী দাস। বিধাননগর পুরনিগমের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন শিবানী। বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। ৩১ অক্টোবর বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন শিবানী দাস। কয়েকদিন চিকিৎসা চললেও খুব একটা উন্নতি হয়নি। শনিবার মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উত্তরবঙ্গেও প্রাণ কেড়েছে ডেঙ্গিতে। মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় রাহুল শেখ নামের বছর ৩০ এর এক যুবকের। ইসলামপুরের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। ইসলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইসলামপুরের নেতাজি পার্ক, নসিয়ত পাড়ায় ডেঙ্গি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
কলকাতা শহরে ডেঙ্গির প্রকোপ তুলনামূলক কম থাকলেও জোড়াবাগানে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনা নতুন করে পুর প্রশাসনকে ভাবাচ্ছে। এই রোগের থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে জোর দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গি হ্রাসে পুর প্রশাসন নানারকম উদ্যোগ নিয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*