আপ বিজেপিরই বি টিম, জানালো কংগ্রেস

Spread the love

১৯৮৪ সালে দিল্লিতে শিখ গণহত্যার দায়ে কিছুদিন আগেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সজ্জন সিং-এর। এরই মধ্যে দিল্লি বিধানসভায় পাশ হওয়া একটি প্রস্তাব নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। তাতে বলা হয়েছে, ’৮৪-তে দিল্লির দাঙ্গা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। তাই তাঁর ভারতরত্ন কেড়ে নেওয়া উচিত। দিল্লির আপ বিধায়করা ওই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন বলে জানা যায়। কংগ্রেস প্রতিক্রিয়া জানায়, এতদিনে বোঝা গেল, আপ বিজেপিরই বি টিম।

আপ বিধায়করা কিন্তু রাজীব গান্ধীকে নিয়ে প্রস্তাব পাশ করানোর কথা স্বীকার করেননি। তাঁদের দাবি, শুক্রবার বিধানসভা থেকে একটি ছাপানো প্রস্তাব বিধায়কদের মধ্যে বিল করা হয়েছিল। তাতে ১৯৮৪-র শিখ দাঙ্গা নিয়ে বলা হয়েছিল বটে কিন্তু রাজীব গান্ধীকে নিয়ে কিছু বলা হয়নি। এক বিধায়ক নিজে কলম দিয়ে ছাপা প্রস্তাবের সঙ্গে রাজীবের ভারতরত্ন কেড়ে নেওয়ার কথা লিখেছিলেন। ছাপানো প্রস্তাবে যা আছে তার অপরেই বিধানসভায় ভোটাভুটি হয়েছে। রাজীব গান্ধীকে নিয়ে কোনও ভোটাভুটি হয়নি।

৭০ আসনবিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভায় ৬৬ টি আসনই আপের। তারা এদিন যে প্রস্তাব পেশ করে তাতে বলা হয়েছিল, ১৯৮৪-র আগে দিল্লিতে কখনও অতবড় দাঙ্গা হয়নি। দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেক পরিবার এখনও ন্যায়বিচার পায়নি। দিল্লি সরকার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে বলুক, মানবতার বিরুদ্ধে যে অপরাধ করা হয়েছিল, দ্রুত দেশের আইন মোতাবেক যেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। দিল্লি হাইকোর্ট সাম্প্রতিক রায়ে এসম্পর্কে যা বলেছে, তা পালন করা উচিত।

দাঙ্গায় অভিযুক্তদের বিচার সম্পর্কে আপের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আমরা প্রস্তাব করছি, বাকি থাকা বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার জন্য বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠন করা হোক। শিখ বিরোধী দাঙ্গার বিচারে যদি আরও দেরি হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের চোখে তদন্তকারী সংস্থা ও বিচারব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা হ্রাস পাবে।

দিল্লি বিধানসভায় এই প্রস্তাব পেশ করেন তিলক নগরের বিধায়ক জার্নেইল সিং। পরে আপের বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজ টুইট করেন, রাজীব গান্ধীর অংশটি মূল প্রস্তাবের অংশ ছিল না। এক বিধায়ক প্রয়াত রাজীব গান্ধীকে নিয়েও প্রস্তাব আনতে চেয়েছিলেন। তাই ছাপা প্রস্তাবে হাতে কিছু কথা লিখেছিলেন। তা কখনই মূল প্রস্তাবের অংশ নয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*