ব্রিগেড সভার পর ফের প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীকে বার্তা দিলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের আব্বাস সিদ্দিকি। সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে দরজা খোলা আছে। যা বলার তা বলেছি, আরও তো বেশিদিন অপেক্ষা করা যাবে না। সদিচ্ছা থাকলে মানুযের স্বার্থে তারা এগিয়ে আসবেন। সোনিয়া গান্ধী রাজি আছেন, রাজ্যের কেউ হয়ত একটু ঢিলে করছে। আমরা চাই, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মানুষের স্বার্থে সমাধান বের হোক।’ তাঁর সংযোজন, ‘বামেদের সঙ্গে তো আমাদের সমঝোতা হয়েছে। আমাদের সাহায্য করলে আমরাও করব।’
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এদিন সভামঞ্চের প্রদেশ সভাপতির সঙ্গে আব্বাসের স্নায়ূযুদ্ধ সামনে আসে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এদিনের পর কংগ্রসের সঙ্গে ISF-এর জোট আরও কিছুটা ধাক্কা খেল। যে কটি জেলা নিয়ে বিরোধ রয়েছে তা নিয়ে রফাসূত্র এখনও বের হয়নি। অধীর পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, ‘বামেদের সঙ্গেই এখনও আমাদেরও বোঝাপড়া সম্পূর্ণ হয়নি! আর সভার তাল কাটার কোনও বিষয় নেই। মঞ্চে একজন আসায় সবাই উচ্ছ্বাস দেখায়, সেই সময় আমি বক্তব্য থামিয়ে ছিলাম।’
ব্রিগেডের সভা শেষ হওয়ার আগেই চলে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তার আগে ব্রিগেড মঞ্চে কংগ্রেসেকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের আব্বাস সিদ্দিকি। তাতে কিছুটা আক্রমণের সুরও ছিল বলে রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছে। ঘটনাচক্রে আব্বাস আসার আগে বক্তব্য রাখতে উঠে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।বলেছিলেন, ‘এত বড় সভায় বক্তব্য রাখার সুযোগ আমার জীবনে এই প্রথম।’ তারপরেও তাঁর দ্রুত তার চলে যাওয়া নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিন অধীর বক্তব্য রাখার মাঝেই সমাবেশে এসে পৌঁছন আব্বাস। মাঠে উচ্ছ্বাসের জেরে কয়েক সেকেন্ডের জন্য বক্তব্য থামাতে হয় অধীরকে। অধীরকে পোডিয়াম থেকে কিছুটা সরেও যেতে দেখা যায়। বাম নেতারা যদিও তাঁকে ফিরিয়ে আনেন। এরপরে আবার আব্বাস তাঁর বক্তব্যে প্রথম কয়েক মিনিট কংগ্রেসের নামই নেন না। বামেদের যে আসনে প্রার্থী দেবে জেতানোর কথা বলেন। পরে যদিও কংগ্রেসকে নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দেন তিনি। ‘তোষণ নয়, ভাগীদার’ হতে এসেছেন বলে সাফ বলেছেন আব্বাস। বন্ধুত্ব করতে এলে তাঁর দরজা খোলা রয়েছে বলেও এদিন ব্রিগেড মঞ্চ থেকে বলেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা। সব মিলিয়ে এই গোটা পর্ব এদিন ছিল যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ন।
Be the first to comment