ম্যাচ ফিক্সিং: ‘চিটফান্ড-নারদ তদন্ত কোথায় গেল’, মোদীকে পাল্টা প্রশ্ন মান্নানের

Spread the love

পর্দার আড়ালে তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা চলছে বাম ও কংগ্রেসের। হলদিয়ার জনসভায় এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেসের পালটা জবাব, ”গোটা দুনিয়া জানে বিজেপির গর্ভে তৃণমূলের জন্ম ৷ কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ’’বাম-কংগ্রেসের লড়াই ওঁকে চিন্তায় ফেলেছে৷

এদিন নরেন্দ্র মোদী বলেন, গোপন বন্ধুত্ব থেকে সাবধান থাকুক। পর্দার আড়ালে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সমঝোতা চলছে। দিল্লিতে একসঙ্গে বসে রণকৌশল তৈরি করেন এঁরা। কেরলে তো বাম-কংগ্রেসের সমঝোতাই রয়েছে, যে ৫ বছর তোমরা লুঠপাট চালাও, ৫ বছর আমরা চালাব। এখানেও সেই ষড়যন্ত্রে চলছে। এদের সমর্থনে ভোট নষ্ট করলে ধোঁকাবাজির শিকার হবেন আপনারা।

জবাবে আব্দুল মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে বাম-কংগ্রেসের লড়াই ওঁকে চিন্তায় ফেলেছে৷ আমরা যে বিকল্প শক্তি হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে দাঁড়াচ্ছি এটা তারই প্রমাণ৷ এরপরই মান্নানের খোঁচা, চিটফান্ড মামলার তদন্ত কোথায় গেল? নারদ কেলেঙ্কারি নিয়ে কেন সংসদের এথিক্স কমিটি নীরব রইল? প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাংলার মানুষ এর জবাব চায়।

মোদীকে একহাত নিয়েছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীও৷ তিনি পালটা বলেছেন, ”বামেদের সঙ্গে নয়, ম্যাচ ফিক্সিং হচ্ছে বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে। আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি, প্রধানমন্ত্রীরও চিন্তা হচ্ছে বামেদের নিয়ে! এতদিন শুভেন্দু অধিকারী, সৌগত রায়রা যা বলছিলেন, এখন তা নরেন্দ্র মোদীর গলাতেও শোনা হচ্ছে। বামেরা কোথায় আছে? তাদের তো মাইক্রোস্কোপে খুঁজে পাওয়া যায় না। তাহলে তাদের নিয়ে এত চিন্তা কেন প্রধানমন্ত্রীর?

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, পাটিগণিতের হিসেব কষেই এদিন ম্যাচ ফিক্সিং-এর অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ কারণ তিনি বুঝেছেন, বাম-কংগ্রেসের জোট হলে লোকসান হবে বিজেপিরই। গত লোকসভা ভোটে ভেস্তে গিয়েছিল বাম-কংগ্রেস সমঝোতা। কংগ্রেস পেয়েছিল ৫.৬৭% ভোট। ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বামেরা৷ জোট হলে ১৩ শতাংশের কাছাকাছি ভোট রয়েছে দুই শিবিরের। এর সঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকির দল যোগ দিলে তা নিঃসন্দেহে আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। আসন কমলেও গত লোকসভায় তৃণমূলের ভোটের হার ছিল (৪৩.৬৯%)৷ আর বিজেপি পেয়েছিল ৪০.৬৪ শতাংশ ভোট। পাটিগণিত বলছে, বাম ভোট গিয়েছিল বিজেপিতে৷ একুশের ভোটে বাম-কংগ্রেস কার্যত পাকা। আব্বাস সিদ্দিকির দলের সঙ্গেও বোঝাপড়া অনেকটাই এগিয়েছে জোটের। সব বুঝেই মোদীজি কথাগুলো বলেছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের৷ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করেছে কংগ্রেসও৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*