ছেলের সঙ্গে এখনও কথা হয়নি ৷ ছোটো ছেলের থেকে জানতে পেরেছেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নোবেলপ্রাপ্তির কথা ৷ তারপর থেকেই ভেসে যাচ্ছেন শুভেচ্ছাবার্তায় ৷ বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের অ্যাপার্টমেন্টে বসে মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, আমি অত্যন্ত খুশি ৷ বাবা-মা দুজনেই অর্থনীতির অধ্যাপক। ছেলেরও সেদিকে ঝোঁক ছিল ৷ তবে কোনওদিন ভাবেননি যে ছেলের হাতে একদিন নোবেল উঠবে ৷
কারণও ব্যাখ্যা করেন নোবেলজয়ীর মা। তাঁর কথায়, পৃথিবীতে আরও অনেকে আছেন, যাঁরা অর্থনীতি নিয়ে কাজ করছেন ৷ তাঁর মা জানালেন, ছেলেবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভালো ছিলেন অভিজিৎ ৷ খেলাধূলা, বেড়ানো, রান্নাতেও শখ ছেলেবেলা থেকেই ৷ ভালোবাসতেন গান শুনতে ৷ মজার ছলে বললেন, টেবল টেনিস, টেনিস খেলত ৷ তবে কোনওটাই ভালো করে খেলতে পারত না ৷ কথাটা শেষ করার আগেই হাসলেন এক গর্বিত মা ৷ জানালেন, ছেলে এখনও সময় পেলেই হাঁটতে বেরিয়ে পড়েন ৷ গাড়ি ব্যবহার করেন না ৷
বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য দূরীকরণ সংক্রান্ত কাজের জন্যই নোবেল পেয়েছেন অভিজিৎ ৷ তিনি ছাড়াও তাঁর স্ত্রী এস্থার ডুফলো এই পুরস্কার পেয়েছেন ৷ পরিবারে একইসঙ্গে দুজনের নোবেলে খুশির জোয়ারে ভাসছেন ৷ বউমার প্রশংসা করে তিনি বললেন, যোগ্য হিসেবে নোবেল পেয়েছে এস্থা ৷ অত্যন্ত স্মার্ট মেয়ে ৷ অমর্ত্য সেনের পর দ্বিতীয় বাঙালি হিসেবে অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন অভিজিৎ ৷ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বহুদিন ধরেই আলাপ বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের ৷ দেড় বছর বয়স থেকেই অভিজিতও চেনেন প্রথম বাঙালি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে ৷ আর তাঁর পথেই এগিয়ে অভিজিৎ বিশ্বমঞ্চে উজ্জ্বল করলেন বাঙালির নাম, দেশের নাম ৷
Be the first to comment