নোবেলজয়ী প্রাক্তনীর সময় দেখেই অভিজিৎ বরণে প্রস্তুত প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়

Spread the love

মঙ্গলবার কলকাতায় পা রাখছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নিজের কলেজ প্রেসিডেন্সিতে কখন যাবেন তিনি? আজ? না কাল? সময় পাবেন তো? কারণ খুব স্বল্প সময়ের জন্যই যে কলকাতা থাকছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ৷ তাই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নোবেলজয়ীর সুবিধা মতোই প্রস্তুতির আয়োজন রাখছে, জানালেন রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার ৷

ক্যান্টিন থেকে করিডোর, প্রেসিডেন্সির প্রতিটি কোনা তাঁর চেনা ৷ প্রাক্তনীকে তাঁর এই সাফল্যের জন্য সংবর্ধনা জানাতে, সম্মানিত করতে প্রস্তুত নোবেলজয়ীর ‘দ্বিতীয় বাড়ি’৷ এর আগেই তাঁকে সম্মাননা জ্ঞাপন নিয়ে একাধিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছে প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ। অভিজিৎবাবু যদি সময় করে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারেন বা যদি আসার সময় না করে উঠতে পারেন সবরকম পরিস্থিতিতেই তাঁকে সংবর্ধনা দিতে প্রস্তুত প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়।

নোবেলজয়ী প্রাক্তনীকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কী পরিকল্পনা করেছে? বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার এই প্রসঙ্গে বলেন, আমরা আগেই বলেছি উপাচার্য ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে আমরা ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। অভিজিৎবাবুর কাছে প্রেসিডেন্সি আলাদা কিছু নয়। এটা ওঁর আর একটা বাড়ি। উনি যেভাবে প্রেসিডেন্সিতে যুক্ত থাকেন, বিশেষত বিভাগীয় ও শিক্ষা সংক্রান্ত কাজে যেভাবে সাহায্য করেন, নিয়মিত এখানে আসেন, তা নতুন করে বলার কিছু নেই। এখানকার প্রত্যেকটা করিডোর ওঁর চেনা। ফলে উনি নিজের মতো করেই এখানে আসবেন।

রেজিস্ট্রার বলেন, সময় সত্যিই একটা জটিলতা। যদি এখনই পারেন, তাহলে এখনই আসবেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তুত তাঁকে সম্মান জানানোর জন্য। পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির বৈঠকে যা যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেইমতোই প্রস্তুত প্রেসিডেন্সি ৷ বিশেষভাবে তৈরি করা দুটি শংসাপত্র মাননীয়া উপাচার্য ইতিমধ্যেই স্বাক্ষর করেছেন।

কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, অতি স্বল্প সময়ের জন্য উনি আসছেন ৷ তাই অভিজিৎবাবু যদি সময় করতে পারেন, তাহলে নিজের মতোই প্রতিষ্ঠানে আসবেন। বিশ্ববিদ্যালয় সমস্ত ব্যবস্থা করবে। প্রচণ্ড ব্যস্ততায় সময় না পেলে বাড়িতে গিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতিও রয়েছে তাদের ৷ শুধুমাত্র নোবেলজয়ীর উত্তরের অপেক্ষায় তারা ৷

পুঁথির আকারের মানপত্র বা শংসাপত্রে মধ্যে কী অভিনবত্ব থাকছে? সেই প্রসঙ্গে রেজিস্ট্রার বলেন, প্রেসিডেন্সি ২০১৭ সালে দ্বিশতবর্ষ উদযাপনে যে লাইন ব্যবহার করেছিল, ২০০ ইয়ারস অ্যাহেড’, এটাকে রেখে ওঁর সাফল্যের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে যেভাবে করা যায় সেভাবে করা হয়েছে। উপাচার্যের ইচ্ছে, অভিজিৎবাবুই এটা প্রথম দেখুন।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ওয়াল অফ ফেমে’ অমর্ত্য সেনের নামের পাশে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম রাখা হবে এবার। অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ও অমর্ত্য সেন এই দুই প্রাক্তনী তথা নোবেলজয়ীর ত্রিমাত্রিক মুখ সহযোগে একটি প্যানেল করা হবে তা অবশ্য আগেই জানিয়েছিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সবমিলিয়ে প্রিয় অভিজিৎকে বরণ করতে সাজ সাজ রব গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*