করোনা যুদ্ধে লড়াই করতে বার্তা দিলেন নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও এস্থার

Spread the love

নোবেলজয়ী দম্পতি এস্থার ডাফলো ও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় একগুচ্ছ পরামর্শ দিলেন ২১ দিনের লকডাউনের সময় মানার জন্য ৷ তাঁদের বার্তার মূল বক্তব্য সচেতনতা বাড়ান, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিকাঠামোর উন্নতিতে জোর দিন ৷

করোনা ভাইরাস অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই করতে কিছু জিনিস মানতেই হবে বলে জানিয়েছেন নোবলেজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ ৷ কর্ণাটকের মানুষের ওপর করা সার্ভেতে উঠে এসেছে সকলেই এই মারণ রোগ সম্পর্কে জানে কিন্তু কী করতে হবে আর কী করতে হবে না সেটার সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট ৷ আর এই অতিমারি যাতে পশ্চিমবঙ্গে মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে না পড়ে তাই দায়িত্ব নিয়েছেন এই দুই নোবলজয়ী অর্থনীতিবিদ ৷

প্রথমেই লকডাউনকে সফল করতে হবে বলে জানিয়েছেন তারা৷ এটা যেই বাঁধনমুক্ত হবে ততই অজানা বাহকরা এই মারণ রোগকে আরও বেশি জায়গায় পৌঁছে দেবে ৷

দ্বিতীয়ত বস্তি বা ঘি়ঞ্জি শহরাঞ্চলের আবাসনগুলিতে যদি একবার এই রোগ ঢুকে যায় তাহলে তা আটকানো অসম্ভব হবে ৷

তৃতীয়ত কারফিউ তুলে নেওয়া হলে আবার এই রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়বে ৷ আর না হলে তিন সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল হয়ে যাবে এই রোগ ৷ যেভাবে লকডাউন এসেছে তারপরেও মানুষের মধ্যে ছড়াচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশ কম ৷ কারফিউয়ের জন্য আক্রান্তের সংখ্যা এখনও নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এই ২১ দিনেও এই সমস্যা সকলের সঙ্গে থাকবে ৷

গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা এমনভাবে রয়েছে যাতে ট্র্যাজেডি হলে খুব মারাত্মক হবে না হলে সেটাকে আটকানোর সব রকমের চেষ্টা করতে হবে ৷

নোবেল জয়ী দম্পতি জানিয়েছেন জনসচেতনতা বাড়াতেই হবে , প্রতি পরিবারে যেন এমন একজন থাকেন যিনি করোনা ভাইরাসের লক্ষণগুলি চিনতে পারবেন ৷ রোগ ছড়াতে পারে সামাজিক মেলামেশা বন্ধ করুন৷ সরকার যেন নিজেদের একাধিক হটলাইন রাখে আর আশা বা বাকি সামাজিক কর্মীরা যেন পরিস্থিতির ওপর নজর রাখে ৷

গ্রামে যাঁরা চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের যেন সঠিকভাবে ট্রেনিং দেওয়া হয় ৷ তাঁরা যেন রোগীর উপসর্গ সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পারেন ৷ আর সেটা সঠিক আধিকারিকদের খবর পাঠিয়ে দেন ৷

বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগের বিস্তার সম্পর্কে সঠিক খবর যেন সব জায়গায় পৌঁছে যায় যাতে সারা দেশের প্রকৃত ছবিটা পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় ৷ একটা মোবাইল দল স্বাস্থ্য কর্মী, চিকিৎসক, নার্স .টেস্টিং কিট ও ভেন্টিলেশন নিয়ে তৈরি করা উচিত ৷ সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সমস্তরকমের ব্যবস্থা নিয়ে তৈরি করা উচিত ৷

এদিকে স্বাস্থ্য পরিষেবার পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্যাকেজের দিকেও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা৷ মানুষ যেন টাকা রোজগারের তাগিদে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে কাজের জায়গায় না যায় তার জন্য অর্থনীতিতে যা যা সহযোগিতা সরকারের করা উচিত তাই যেন করা হয় ৷ এর পাশাপাশি তাঁরা যা বলেছেনে তাতে পরিষ্কার এখনও অবধি সরকার যেভাবে অর্থনীতি সামাল দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে তা একেবারে ছোট আলুর মতো এই দিয়ে মানুষকে বাড়িতে বসিয়ে রাখা সম্ভব নয় ৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*