আজ রবিবার কূলতলিতে সভা করতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভামঞ্চ থেকেই একেবারে নাম ধরে শুভেন্দুকে আক্রমণ। বলেছেন, ‘তোমাকে টিভিতে টাকা নিতে দেখা গেছে। আর তুমি আমাকে তোলাবাজ বলছ? এই প্রসঙ্গে সুদীপ্ত সেনের আদালতে দেওয়া একটি চিঠিকে সামনে আনেন ডায়মন্ডহারবারের এই সাংসদ। সেই চিঠি ধরে অভিষেক বলতে থাকেন যে, এই চিঠিতে স্পষ্ট বলা রয়েছে যে তিনি শুভেন্দুকে টাকা দিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারীকে ৬ কোটি টাকা দিয়েছিলেন! তাহলে তোলাবাজ-ঘুষখোর কে? সভা থেকেই জনতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন অভিষেক!
তিনি আরও বলেন, ১০ বছর খেয়ে মধু, তোলাবাজ এখন সাজছে সাধু। সুদীপ্ত সেন আদালতকে চিঠিতে লিখেছিলেন। এমন প্রমাণ আমার বিরুদ্ধে নেই। সুদীপ্ত সেনকে ব্ল্যাকমেল করতেন শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি, আদালতে দেওয়া সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে আরও লেখা আছে যে, পালানোর আগে সুদীপ্ত সেনের অফিসে যান শুভেন্দু। আর সেখানে গিয়েও শেষ মুহূর্তেও শুভেন্দু অধিকারী টাকা নিয়েছে বলে বিস্ফোরক দাবি অভিষেকের।
সাংসদ বলেন, আমি প্রমাণ দিয়েছি, আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ দিতে পারবে? প্রমাণ দিতে পারলে ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুবরণ করব। টিভির পর্দায় টাকা নিয়েছ, আর ভাইপো তোলাবাজ?’
অভিষেক আরও বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ গুণ্ডা, কৈলাস বিজয়বর্গীয় বহিরাগত। ঘুষখোর শুভেন্দু অধিকারী, নাম করে বলছি। এক পরিবারের পাঁচজন রাজনীতি করে। এরা আবার পরিবারতন্ত্রের কথা বলে। আমার পরিবারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কেউ রাজনীতি করবেন না। করলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। যারা বলছে, তারা এই গ্যারান্টি দিতে পারবে?’
যদিও এহেন অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই বলেই দাবি বিজেপির। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ওই চিঠি নিজে হাতে তৈরি করা। এর কোনও মূল্য নেই। সুদীপ্ত সেনের বয়ান তুলে কাউকে অভিযোগ করাটা হাস্যকর বলে মনে করেন তিনি। শুধু তাই নয়, ভোটের আগে এমন চিঠির কোনও মূল্য নেই বলেই মনে করেন তিনি।
Be the first to comment