কয়লা কাণ্ডে তাঁকে ফের সমন পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিন্তু তাতে যে তিনি ভয় পাচ্ছেন না, ফের টুইট করে সে কথাই যেন বুঝিয়ে দিতে চাইলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ফের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তীব্র আক্রমণ শানালেন তিনি।
সোমবার প্রকাশিত হয়েছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রেকর্ড। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের নিরাপদতম এবং সবথেকে সুরক্ষিত শহর কলকাতা। দেশের অন্যান্য শহরের তুলনায় গুরুতর অপরাধের হার সবথেকে কম তিলোত্তমায়। আর এই তালিকারই শীর্ষে রাজধানী দিল্লি। গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে কলকাতার অপরাধের হার ৯২.৬। সেখানে দিল্লিতে অপরাধের হার ১৭৭১.৭। যা কলকাতার থেকে ১৯ গুণেরও বেশি। এই নিয়েই অমিত শাহকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। চাঁচাছোলা ভাষাতেই বলে দিলেন, পুলিশকে সামলাতে ব্যর্থ শাহর মন্ত্রক।
এদিন টুইটারে অভিষেক লেখেন, “অমিত শাহর হাতে এখন জোড়া কাজ রয়েছে। প্রথমে নিজের ছেলেকে জাতীয়তাবাদ শেখানো এবং তারপর নিজের মন্ত্রকের পুলিশকে সামলানো। দিল্লির অপরাধের মাত্রা দেখলে বিস্মিত হতে হয়। ইডিকে পুতুলের মতো নাচানো বন্ধ করে তিনি বাংলার মডেল থেকে শিক্ষা নিতে পারেন।”
উল্লেখ্য, রবিবার দুবাইতে ভারত-পাক ম্যাচে গ্যালারিতে ছিলেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। রোহিত শর্মাদের জয়ের পর জাতীয় পতাকা হাতে নিতে অস্বীকার করেন জয় বলে অভিযোগ। এরপরই এ নিয়ে টুইট করে তোপ দাগেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করেন, “দেশের পতাকা হাতে নিতে নারাজ ছেলেকে ‘ত্যাজ্যপুত্র’ করে দেখান।” ‘কুলাঙ্গার ছেলে’কে বরখাস্ত করুক বিসিসিআই। এই দাবিও করেন তিনি। এখানে বলে রাখা দরকার, ভারতীয় বোর্ড সচিবের পাশাপাশি জয় শাহ এসিসির (এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল) প্রেসিডেন্ট পদেও রয়েছেন। তাই নিয়ম অনুযায়ী, এশিয়া কাপে তাঁর নিরপেক্ষ থাকাই বাঞ্ছনীয়। সেই কারণেই তিনি তেরঙ্গা হাতে নেননি বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে ছেলের কীর্তি নিয়ে অমিত শাহকে সোমবার বিঁধেছিলেন অভিষেক। আর এদিন রাজধানীর অপরাধের মাত্রা দেখে ফের অমিত শাহকে একহাত নিলেন অভিষেক। কারণ শাহর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্তই দিল্লি পুলিশ। যাঁদের অপরাধ দমনের ব্যর্থতা রিপোর্টেই পরিষ্কার।
Be the first to comment