‘অমিত শাহদের জন্য দুই মিনিট নীরবতা’, UNESCO-এর ঘোষণার পরই ট্যুইট অভিষেকের

Spread the love

দুর্গাপুজোর হাত ধরে বাংলার মুকুটে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। প্রাণের পুজো জায়গা পেয়েছে ইউনেসকোর হেরিটেজ তালিকায়। এবার এই সাফল্যকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের ভোট প্রচার প্রসঙ্গ তুলে এনে গেরুয়া শিবিরকে ধর্মান্ধ এবং ধাপ্পাবাজ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। তৃণমূল সাংসদ ট্যুইটে লেখেন, ‘দুই মিনিট নীরবতা অমিত শাহ এবং বিজেপির অন্য নেতাদের জন্য। যারা বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে হাস্যকর ভাবে দাবি করেছিলেন, বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না। আপনাদের ধর্মান্ধতা এবং ধাপ্পাবাজি ফের প্রকাশ্যে এসেছে। প্রকট হয়েছে আপনাদের অভিসন্ধি।‘

একুশের বিধানসভা ভোটে বাংলায় দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হয় না। এমন একট অভিযোগকে সামনে রেখে ভোট প্রচার শুরু করেছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দলীয় ইস্তেহারে সেই প্রসঙ্গের উল্লেখ ছিল। যদিও বিজেপির এই প্রচার সেভাবে সাড়া ফেলেনি এই রাজ্যের ভোটারদের মনে। ২-রা মে’র ফল ঘোষণায় সেই অবস্থান স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ইউনেসকোর মতো সংস্থার কলকাতার দুর্গাপুজোকে দেওয়া এমন স্বীকৃতির জেরে পুরভোটের আগে কিছুটা ব্যাকফুটে পদ্ম শিবির। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।   

এদিকে, ইউনেসকো নিজেই ট্যুইটে এই খবর জানিয়েছে। কলকাতার দুর্গাপুজোর এহেন বিশ্ব বন্দনা ‘গর্ব এবং আনন্দের বিষয়।‘ ট্যুইটে এবার মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তাঁর ট্যুইট, ‘প্রত্যেক ভারতীয়ের জন্য গর্ব এবং আনন্দের বিষয়। দুর্গাপূজা  আমাদের সাংস্কৃতিক ও আত্মিক বৈশিষ্টের শ্রেষ্ঠ দিকগুলোকে তুলে ধরে। আর, কলকাতার দুর্গাপূজার অভিজ্ঞতা প্রত্যেকের থাকা উচিত।‘ নিজের ট্যুইটের সঙ্গে ইউনেস্কোর ঘোষণার অংশও এদিন জুড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীও ট্যুইট করে এই স্বীকৃতি উদযাপন করেন। তিনি লেখেন, ‘বাংলার জন্য গর্বের মুহূর্ত। সারা বিশ্বের বাঙালিদের কাছে দুর্গাপুজো উৎসবের ঊর্ধ্বে অনেক কিছু। একটা আবেগ, যা প্রত্যেককে বেঁধে রাখে। আর এখন মানবতার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় প্রতিনধিত্ব করবে দুর্গাপুজো। আমাদের সকলের জন্য আনন্দের মুহূর্ত।‘

ইন্ডিয়া অ্যাট ইউনেসকো-র টুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে ‘সিটি অফ জয় কলকাতার জন্য আনন্দের উদযাপন! দুর্গাপুজোকে ইউনেসকো’র মানবজীবনের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে৷’ বাংলা ও বাঙালির অন্যতম পরিচয় বলা হয় শারদীয়া উৎসব বা দুর্গাপুজোকে৷ তিলোত্তমা কলকাতার রূপে যেন আলাদা মাত্রা যোগ হয় পুজোর ক’দিনে৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*