কয়লা কাণ্ডে ফেরার বিনয়ের সঙ্গে যোগ শুভেন্দুর, কথা হয়েছে ৮ মাস আগেও, বিস্ফোরক অভিষেক

Spread the love

ইডি দপ্তর থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৮ মাস আগে কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে জড়িত বিনয় মিশ্রের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতার, দাবি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। মিথ্যে বললে তাঁর বিরুদ্ধে শুভেন্দুকে মানহানির মামলা করার চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দেন অভিষেক।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র দ্বীপরাষ্ট্রে রয়েছেন। সে নাকি ফেরার। ৮ মাস আগে ফোনে ওর সঙ্গে কথা বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেছেন কেস আমি দেখে নেব। আদালত চাইলে অডিও ক্লিপ জমা দিতে রাজি। প্রয়োজন হলে অডিও ক্লিপের ফরেন্সিক পরীক্ষা হোক। প্রমাণ করুন ৫ পয়সা নিয়েছি। আমার সঙ্গে কথা হয়েছে প্রমাণ করুন। কাচের ঘরে বসে ঢিল মারবেন না। আমি মিথ্যে বললে শুভেন্দু মানহানির মামলা করুন। এরপর আরও সুর চড়িয়ে অভিষেকের হুঁশিয়ারি, ডিসেম্বরে বিরোধী দলনেতা পদটিও থাকবে না শুভেন্দুর। এদিনও আরও একবার অভিষেক দাবি করেন, পাচারের টাকা অমিত শাহর কাছে গিয়েছে। কেন বিএসএফ গরু পাচার রুখতে পারল না সে প্রশ্নও ছুঁড়ে দেন তিনি।

উল্লেখ্য, নীরব মোদি, মেহুল চোকসিদের মতো বিনয় মিশ্রও পলাতক। শাস্তির হাত থেকে বাঁচতে ভিন দেশে পালিয়ে সেখানকার নাগরিকত্ব নিয়েছে কয়লা ও গরু পাচার চক্রের অন্যতম মূল পান্ডা বলে খবর সিবিআই সূত্রে। জানা গিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুরে নাগরিকত্ব নিয়ে সেখানেই গা ঢাকা দিয়েছে বিনয়। সিবিআইয়ের দাবি, ওই রাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ায় বিনয় ভারতীয় দূতাবাসে নিজের পাসপোর্ট জমা দিয়েছে।

২০২১ সালের শুরুর দিকে কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডের কিনারায় সিবিআইয়ের তৎপরতা দেখে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্র বাংলা ছেড়ে মুম্বই হয়ে পালিয়ে যায় দুবাইয়ে। এমনই শোনা গিয়েছিল সেসময়। এরপর একাধিকবার ভিনদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করেই বারবার গা ঢাকা দেয় বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তার ভাই বিকাশ মিশ্রকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। এই অবস্থায় বিনয়কে জালে আনতে সিবিআই ইন্টারপোলের কাছে রেড কর্নার নোটিস জারি করার আবেদন জানায়। সেই মতো, রেড কর্নার নোটিসও জারি করা হয়। তারপর দীর্ঘদিন পেরিয়ে যাওয়ায় বিনয় মিশ্রের নাগাল পায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*