একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র কটাক্ষ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এদিন একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক বলেন, ‘দু’ একটা চার আনার নকুলদানাকে নিয়ে গিয়ে ভেবেছিল তৃণমূলকে বাংলা ছাড়া করব৷ ২০১৬ সালে তৃণমূল পেয়েছিল ২১১ আসন, আর ২০২১-এ ভাঙা পায়ে লড়াই করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার ২১৪ আসনে জিতে দেখিয়েছেন ৷
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন শুরুতেই ২০১৯-এর একুশে জুলাইয়ের সঙ্গে এবারের পরিস্থিতির তুলনা টানেন ৷ সেবার লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের পর তৃণমূল সমর্থকদের মনে দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে যে সংশয় তৈরি হয়েছিল, সেকথা মনে করিয়ে দেন অভিষেক ৷ তারপরই যাঁরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে হাওয়া বুঝে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন তাঁদের নিশানা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ৷
নাম না করে দল ছাড়া নেতাদের কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, এই তৃণমূল আলাদা ৷ এই তৃণমূলে মীরজাফর, গদ্দার, বেইমান, ধান্দাবাজরা নেই।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, কারও মুখ দেখতে পাচ্ছি না। সবার মুখ ছাতায় ঢাকা। আমি ছাতা সরালে আপনাদেরও সরাতে হবে। দু’দিন আগে থেকে আবেগ শুরু হয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২১ যুব সভাপতি ছিলাম। এই উচ্ছ্বাস দেখিনি। ২১ সে জুলাই এর সর্বকালীন রেকর্ড আজ ভেঙে গেছে। দুর দুরন্ত জেলা থেকে। ২০১৪- থেকে ২০২১ দেখেছি। এত উচ্ছ্বাস আগে কর্মীদের মধ্য আমি দেখতে পায়নি। বৃষ্টি আমাদের কাছে শুভ। বৃষ্টি যখনই হয়েছে, তখনই বিরোধীরা ধরাশায়ী হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আমি ওঠার আগে আপনারা হাততালি দিলেন। যখন দুই বছর আগে গেল গেল রব উঠেছিল, তখন আপনারা জান দিয়ে দলকে রক্ষা করেছেন। আপনাদের মনে একটা বেদনা ছিল লোকসভায় ভালো ফল হয়নি৷ সেদিন জেদ নিয়েছিলাম যে লড়াই করতে হবে। টানা বৃষ্টি পড়ছে একটা লোক মঞ্চ ছেড়ে যায়নি। এই লড়াই পঞ্চায়েত জেতার লড়াই নয়৷ দিল্লির জন্য গণতান্ত্রিক লড়াই।
অভিষেকের স্পষ্ট বার্তা নিজের করে খাবার জায়গা তৃণমূল কংগ্রেস নয়। মানুষকে নিয়ে কাজ করতে হবে। যদি কেউ ভাবে তৃণমূল কংগ্রেস করে খাবার জায়গা।আমি বলে দিই তৃণমূল কংগ্রেসে নির্লোভ হয়ে কাজ করতে হবে। নেত্রীর আদর্শ নিয়ে তৃণমূল করতে হবে। খাওয়ার জন্য করা যাবেনা। এই তৃণমূল অন্য। এখানে ধান্দাবাজরা নেই।
Be the first to comment