অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে পরোক্ষে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে বিজেপি নেতা নির্মল মণ্ডলের বিরুদ্ধে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সমস্ত থানায় এফআইআর করল যুব তৃণমূল।
শুক্রবার, বীরভূমে পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে তৃণমূল। খয়রাশোলে বিজেপি কর্মীদের উপর দুষ্কৃতী হামলার প্রতিবাদে এই সমাবেশ করে বিজেপির কিষাণ মোর্চা। এখানেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা নির্মল মণ্ডল বলেন, “আমাদের নেতা মুকুল রায়, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়রা বলে গিয়েছেন অন্যায়ের প্রতিবাদ করো, প্রতিরোধ করো, এমনকী দরকার হলে প্রতিশোধ নাও। এ বার আমরা প্রতিশোধ নেব।”
তৃণমূলের পাশাপাশি সিপিএমের বিরূদ্ধেও বিষোদ্গার করেন এই নেতা। তারপরেই বলেন. “কেরলে প্রচণ্ড মারামারি চলছে। ওরা একটা খুন করলে আমরা দুটো খুন করি ভাই। দিদি, কী হবে দিদি, তোমার ভাইপো যদি খুন হয়ে যায়, তখন কী হবে দিদি?”
এই মন্তব্যের কথা জানাজানি হতেই আলোড়ন সৃষ্টি হয়। তৃণমূলের রাজ্য সভার সাংসদ ডেরেক ও ’ব্রায়েন বলেন, “বিজেপি মরিয়া হয়ে উঠেছে। সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। আজ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রকাশ্যে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ বার আরও বেশি প্রশ্নের জবাবদিহি করতে হবে।”
বীরভূমের নিচু তলার অনেক তৃণমূল নেতাই শুক্রবার বিভিন্ন থানায় নির্মল মণ্ডলের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। আজ শনিবার অভিযুক্ত এই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সমস্ত থানায় এফআইআর করে যুব তৃণমূল। আজ সকালে মূল এফআইআর হয় সদর শহর মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানাতে। এরপর একে একে জেলার সমস্ত থানাতেই যুব তৃণমূলের সভাপতিরা অভিযোগ দায়ের করেন। মূল অভিযোগটি করেন যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি রমা গিরি।
তৃণমূলের বক্তব্য যেহেতু বিজেপির জন বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন দল নেত্রী। তাই এইভাবে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করে ভয় দেখাতে চাইছে বিজেপির সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা।
Be the first to comment