অমিত শাহ, কৈলাস বিজয়বর্গীয় বহিরাগত, আকাশ বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ গুন্ডাঃ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

Spread the love

একুশের নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গের সংগঠনকে মজবুত করতে উত্তরবঙ্গ সফরে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সূত্রেই বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরে সভা করেন অভিষেক। আর সেখান থেকেই জনতার উদ্দেশে অভিষেক প্রশ্ন তুললেন, নারদায় তো টাকা নিতে দেখেছেন। তোলাবাজ তাহলে কে? জনতার সম্মিলিত আওয়াজ আসে, ‘শুভেন্দু’! বৃহস্পতিবার ফের অভিষেক বলেন, আমাকে ভাইপো বলে আক্রমণ করেন কারণ ওদের বুকের পাটা নেই। কিন্তু আমি বলছি, অমিত শাহ, কৈলাস বিজয়বর্গীয় বহিরাগত, আকাশ বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ গুন্ডা। সাহস থাকলে আদালতে আসুন, আমাকে জেলে ঢোকান।

তাঁর ‘তোলাবাজি’ নিয়ে বারবার আক্রমণ শানানো বিজেপি নেতাদের এদিন চ্যালেঞ্জ করে অভিষেক বলেন, আমি নাকি টাকা তুলি, তোলাবাজি করি। তবে আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, আমার জন্য ইডি-সিবিআই লাগাতে হবে না। প্রমাণ করে আমার জন্য ফাঁসির মঞ্চ করবেন, আমি নিজেই মৃত্যুবরণ করব। আমরা ক্ষুদিরামের আদর্শ মেনে চলি। ক্ষমতা দখলের লালসা আমাদের নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার ক্ষমতা ছেড়ে চলে এসেছেন। তাঁর আদর্শেই তৈরি তৃণমূল, তাঁর আদর্শই আমরা মেনে চলি।

সভায় ভিড় দেখে উৎফুল্ল অভিষেক বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুরে আজকের সভায় যে ভিড় হল, তা সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। যে কটা পদ্ম ২০১৯ সালে ফুটিয়েছিলেন, সেই সবকিছুই একুশের নির্বাচনে বানের জলে ভেসে যাবে। মে মাসের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচন সম্পূর্ণ হয়ে ফলাফল ঘোষণা হয়ে যাবে। তার আগে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করুন। আগামী ৫ বছর উন্নয়নের জোয়ার থেকে বাংলার কোনও পরিবার বঞ্চিত হবে না। কিন্তু এই দাঙ্গাবাজ বিজেপিকে বিদায় করতেই হবে। মমতাকে তৃতীয়বারের জন্য নবান্নে পাঠাতেই হবে।

পাশাপাশি এদিন বহিরাগত ইস্যুতে অভিষেক বলেন, বহিরাগতদের ঢুকিয়ে, ভাড়া করে এনে বিজেপি এখন বাংলার কৃষ্টিকে নষ্ট করতে চাইছে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর আর কোনও বিজেপি নেতা আসেনি। প্রধানমন্ত্রী, অমিত শাহরাও ভুলে গিয়েছিলেন। কিন্তু মানুষের পাশে থেকেছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। আগামী দিনেও তাই থাকবেন। এরা শুধু কার বাড়িতে মাস-মাংস রয়েছে সেই খবর রাখে। কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জওয়ানদের মেরে চলে গেল, সেই খবর রাখে না। ভোটে সেনাকে ব্যবহার করে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*