মাত্র সাতদিনের ব্যবধানে ফের বাংলায় আসছেন অমিত শাহ। পরিবর্তন যাত্রায় অংশ নিতে শাহের এই সফর। আর এই সফরে নামখানা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ক্র তীব্র আক্রমণ শানান অমিত শাহ। একাধিক ইস্যুতে অভিষেককেও আক্রমণ করেন তিনি। এদিন সোনার বাংলা তৈরির কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি নামখানা থেকে মৎস্যজীবীদের জন্যে একগুচ্ছ কল্যাণমূলক প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন শাহ। পালটা এ দিনই পৈলান থেকে বিজেপিকে একহাত নিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোনার ভারত তৈরি করতে পারেনি আবার বাংলা তৈরি করবে? কটাক্ষ অভিষেকের।
এদিন অমিত শাহকে তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অমিত শাহ এদিন বাংলায় দাঁড়িয়ে বলেন, সিপিএম, তৃণমূলকে সুযোগ দিয়েছেন। আগামী পাঁচ বছরের জন্যে সোনার বাংলা তৈরির প্রতিশ্রুতি দেন শাহ। আর তাঁর এহেন মন্তব্যকে পালটা তোপ দাগেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। তিনি বলেন, ‘‘সোনার বাংলা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা। নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় এসেছেন ৭ বছর তো হয়ে গেল। সোনার ভারত কি গড়তে পেরেছেন ওঁরা?”
নামখানায় জনসভা করেন অমিত শাহ। সেখানে তিনি বলেন,‘ক্ষমতায় এলে ৪ লক্ষ মৎস্যজীবীকে কিষাণ নিধির মতো সুবিধা। মাসে এঁদের ৬ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। মাসে এঁদের ৬ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে।’ তাঁর এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন আগেই উত্তরবঙ্গে দাঁড়িয়ে ১৮ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন অমিত শাহ। আজ বলছেন কৃষকদের টাকা। গত ভোটে সমস্ত ভারতীয়কে টাকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু কিছুই দেননি প্রধানমন্ত্রী। না টাকা দিতে পেরেছেন আর না কর্ম সংস্থান! আর সে বিষয়টিকে এদিন তুলে ধরে অভিষেক বলেন, আগে টাকা দিন পরে ভোট চাইতে আসবেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগণার মাটি শক্ত মাটি। সমস্ত প্রলোভনকে সরিয়ে রেখে ৩১টি আসনে জিতিয়েছিলেন। এবারও ৩১ এ ৩১ করার কথা বলেন অভিষেক। এদিন তিনি আরও বলেন, গোটা বাংলা জুড়ে ঘুরে যা বোঝা গিয়েছে তাতে নবান্নে আবার হাওয়াই চটি । ২৯৫ টি আসন পেয়ে ফের তৃণমূল ক্ষমতায় আসবে বলে দাবি তাঁর।
অভিষেক বলেন, এ বারের লড়াই বহিরাগতদের তাড়ানোর লড়াই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসানোর লড়াইও নয়। বরং এ বারের লড়াই বাংলাকে রক্ষা করার লড়াই।” একই সঙ্গে অভিষেক বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, টাকা ছড়িয়ে সাংসদ-বিধায়ক কিনছে। তৃমমূল থেকে নেতা ভাঙিয়ে দল ভরাতে হচ্ছে। বলছেন সোনার বাংলা গড়বেন। তৃণমূল থেকে যাওয়া নেতাদের বিমানে উড়িয়ে যাচ্ছে। অথচ পুরনো বিজেপি কর্মীদের কোনও মূল্য নেই, কটাক্ষ সাংসদের।
Be the first to comment