নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতে পারে যে কোনও দিন। এর মধ্যে রবিবার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে CBI আধিকারিকদের যাওয়া নিয়ে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে। শাসক শিবিরের স্পষ্ট বক্তব্য, এভাবে তাদের আটকানো যাবে না। বিজেপির হয়ে প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছেন CBI যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি।যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়েছে বাম-কংগ্রেস।
টুইটে অভিষেক এপ্রসঙ্গে বলেছেন, ‘দুপুর ২টো নাগাদ CBI আমার স্ত্রীর নামে একটি নোটিশ দিয়েছে। দেশের আইনের উপর আমাদের আস্থা আছে। ওরা যদি ভাবে, এভাবে আমাদের ভয় দেখাবে তাহলে ভুল করছে। আমরা কাপুরুষের মতো ভয় পাওয়ার লোক নই।’
গত ২ ফেব্রুয়ারি একটি জনসভায় বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী কয়লা কাণ্ডে সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর নাম করে অভিযোগ করেন, ‘বেআইনি কয়লা পাচারেরর টাকা ব্যাঙ্ককের অ্যাকাউন্টে যায়। বেআইনি কয়লাপাচার চক্রের অন্যতম পাণ্ডা লালা ওরফে অনুপ মাঝি ম্যাডাম নারুলার অ্যাকাউন্টে নিয়মিত টাকা জমা করেন।’ অভিষেক যদিও আরেক সভায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁর স্ত্রীর অন্য কোথাও কোনও অ্যাকাউন্টে নেই।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘একেবারেই প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ।’ সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, ‘এটাই তো প্রত্যাশিত ছিল। জোট সঙ্গীরা BJP-কে ছেড়ে গিয়েছে। ওদের এখন একমাত্র অনুগত মিত্র CBI এবং ED। এর বিরুদ্ধে লড়ব, আমরা বিশ্বাস করি, জনতা ভোটবাক্সেই এর উপযুক্ত জবাব দেবে।’
এদিকে সিপিআই(এম) নেতা সুজন চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘তদন্তের গতি যেন স্লথ না হয়।’ বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের প্রতিক্রিয়া, ‘এটা তো হওয়ারই ছিল। ভোটের সময় তাঁকে ওড়িশায় থাকতে হলে অবাক হব না!’ এই তদন্ত যেন নিরপেক্ষ হয়। বাংলাকে যে লুঠ করা হচ্ছে তা বন্ধ করা দরকার। জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অভিষেকের করা এক মামলায় দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সমন ধরানোর পরেই এই ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ। বেআইনি কয়লা পাচার মামলার তদন্তে গত কয়েক মাস ধরেই তৎপর CBI। মামলায় মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার এখনও কোনও হদিশ নেই। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছে লুক আউট নোটিশ। অন্যদিকে, এই মামলায় যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বিনয় মিশ্রেরও হদিশ মেলেনি। এই ঘটনায় রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে গেলেও, একাংশের মতে, কয়লাকাণ্ডের জাল দ্রুত গোটাতেই তৎপর।
Be the first to comment