নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে, এখন লড়াই মুখোমুখি। মেদিনীপুরের পদযাত্রা থেকে তাই কোনও রাখঢাক রাখলেন না। বার্তা দিলেন অধিকারীদের নিশানা করেই। ঘাটালের দীর্ঘ রোড শো শেষে অভিষেকের মুখে সেই মীরজাফর এবং বহিরাগত উবাচ। ক্ষোভ প্রকাশ করলেন নির্বাচনী নির্ঘণ্ট নিয়েও। এল সিবিআই প্রসঙ্গ।
নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ হয়েছে গতকালই। আট দফা নির্বাচন নিয়ে অখুশি ঘাসফুল শিবির। এ দিন এই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “মেদিনীপুর দু’ভাগে ভাগ করে ভোট করাচ্ছে। কেন করাচ্ছে, একজনের সুবিধে হবে। ১৬ টা আসন পূর্বের, ১৫টা আসন পশ্চিম মেদিনীপুরের। আমি বলছি ৩১ দফায় ভোট হলেও ওর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।”
ভোটের ফল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী অভিষেকের উবাচ, “৫ বছর তোমাদের টিকি খুঁজে পাওয়া যাবে না।” সম্প্রতি তৃণমূল সামনে এনেছে তাদের নতুন স্লোগান বাংলা তার নিজের মেয়েকেই চায়। শুরু হয়েছে এই স্লোগানের সর্বাত্মক প্রচার। এদিন সকালেই প্রশান্ত কিশোর ট্যুইট করেন এই মর্মে। অভিষেকের গলাতেও শোনা গেল একই সুর। কথায় কথায় তিনি বললেন, আগামিদিনে বাংলার মানুষ মেদিনীপুর মেয়েকে মুখ্যমন্ত্রী করব।
মনীষী নিয়ে বিজেপির ভুলগুলিকে অনেকদিনই অস্ত্র করেছে তৃণমূল। বিদ্যাসাগরের মাটিতে রোড শো করতে এসে অভিষেক যে সেই সুযোগ ছাড়বে না তা বলাই বাহুল্য। অভিষেক বললেন, “বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে, এই নির্বাচনে তাদের জবাব দেওয়া হবে। বীরসিংহের বীর সন্তানের মূর্তি যার নেতৃত্বে ভাঙা হয়েছে. যে তার পদলেহন করেছে, তাঁকে জবাব দেবেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, এই বার্তা শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গেই।”
সব শেষে এল সিবিআই প্রসঙ্গ। ঠিক ঠাকুরনগরের সভার মতোই অভিষেকের অস্ত্র শ্রীজাতকর বিখ্যাত কাব্য পঙক্তি , “ইডি, সিবিআই দেখিয়ে আমায় লাভ নেই। আমার শিরদাঁড়া ফর সেল নয়। যে বেচে দিয়েছে সেও মানুষ আমিও মানুষ। আমায় ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।”
কঠিন সময়ে লড়াইয়ের ময়দানে দলীয় কর্মীদের মনোবল যাতে অটুট থাকে তা নিশ্চিত করতে তাঁর ভোকাল টনিক,সবুজ আবির কিনে রাখো। ২রা মে দোল খেলব।
Be the first to comment