শুভকাজে নামার আগে গুরুজনদের আশীর্বাদ প্রয়োজন ৷ আর সেটাই করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নবনিযুক্ত সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ পৌঁছে গেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সির বাড়িতে ৷
একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের অন্যতম কাণ্ডারি তিনি ৷ কাজের পুরস্কারও মিলেছে ৷ গতকালই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের গুরুদায়িত্ব পেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কাজে লেগে পড়বেন দ্রুত ৷ তার আগে রবিবার সকালে গুরুজনদের আশীর্বাদ নিতে সোজা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সির বাড়ি পৌঁছে গেলেন অভিষেক ৷
এদিন দুপুরে পার্থর নাকতলার বাড়িতে যান তৃণমূলের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর আশীর্বাদ নিতে পার্থর বাড়িতে যান ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। দীর্ঘদিন রাজনীতি করার সূত্রে মহাসচিবের কাছ থেকে পরামর্শও নেন তিনি। তবে শুধুমাত্র পার্থ নন, দলের অনেক প্রবীণ নেতারও আশীর্বাদ নিতে চান অভিষেক। সেখানে কুশল বিনিময় করেন দু’জন। বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে অভিষেক চলে যান তাঁর ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে।
সেখান থেকে আবার সন্ধেবেলা সুব্রত বক্সীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর দলীয় কার্যালয়ে যান অভিষেক। তাঁকে জড়িয়ে ধরে আশীর্বাদ করেন সুব্রত বক্সী। তারপর তিনি দেখা করেন তৃণমূলের আর এক প্রবীণ নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সূত্রের খবর, দলের আরও প্রবীণ নেতার আশীর্বাদ নিতে যাবেন অভিষেক।
ঘনিষ্ঠ মহলে তৃণমূলের এই যুব নেতা জানিয়েছেন, দল তাঁকে যে গুরুদায়িত্ব দিয়েছে তা পালন করতে সকলকে নিয়ে চলতে চান । এক্ষেত্রে দলের প্রবীণ নেতৃত্বকে সম্মান দিয়েই এগোবেন তিনি । কীভাবে কাজ করতে হবে সে বিষয়ে পরামর্শ নেন । সুব্রত বক্সি জানিয়েছেন, অভিষেক যেভাবে প্রবীণদের গুরুত্ব দিয়ে এগোতে চাইছেন তাতে দল লাভবান হবে । অভিষেকের চলার পথে সবরকম সাহায্য করবেন প্রবীণরা । তবে এই বিষয়ে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় কোনও মন্তব্য করেননি ৷
Be the first to comment