বাংলায় বজ্রপাতে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সাথে বুধবার দেখা করলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। গত সোমবার মুর্শিদাবাদ জেলায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ন’জন বাসিন্দার। বহরমপুরে মারা গিয়েছেন ২ জন, রঘুনাথগঞ্জে মারা গিয়েছেন ৬ জন ও সুতিতে মারা গিয়েছেন ১ জন। নিহতদের পরিবারকে ইতিমধ্যেই সাহায্য করেছে প্রশাসন। এবার এই সমস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বুধবারই তাদের সাথে দেখা করলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
এদিন বহরমপুরে পৌঁছে প্রথমে যান বজ্রাঘাতে মৃত প্রহ্লাদ মুরারি ও তারপর অভিজিৎ বিশ্বাসের বাড়িতে যান। সেখানে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। সকালে বেহালা ফ্লাইং ক্লাব থেকে কপ্টারে চড়ে রওনা দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এরপর কপ্টারে রঘুনাথগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বজ্রাঘাতে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আজই ফিরবেন কলকাতায়।
অভিষেক বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। পরিবারের রোজগেরে সদস্যদের মৃত্যু হওয়ায় তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এই সমস্ত পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়াতে হবে আমাদের সকলকে।” মুর্শিদাবাদ জেলাতে বজ্রপাতে মৃত ৯টি পরিবারকে প্রশাসন ইতিমধ্যেই আর্থিক সাহায্য করেছে। দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে সোমবার বিকেল থেকে ঝড় ও বৃষ্টি বজ্রপাতে মুর্শিদাবাদে মৃত্যু হয় মোট ন’জনের। জঙ্গিপুর মহকুমায় ৭ জন ও বহরমপুরে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে । মঙ্গলবার দুপুরে রঘুনাথগঞ্জ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছয় জনের হাতে দুই লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান তুলে দেওয়া হয় পাশাপাশি সুতি এক নং ব্লকের মৃত পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা হয়।
অন্যদিকে বহরমপুরে দুই জন মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। সোমবার বিকেলে মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর বজ্রপাতে মৃত্যু হয় মোট দুইজনের। বহরমপুরের মনিন্দ্রনগর জিপির অধীনে প্রভা রানী বি-এড কলেজের নিকটে বানজেটিয়া কলোনি, পিএস বারহমলোর হাটহাট কলোনির একজনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে এই ঘটনায় জোয়রাম সোরেেন গুরুতর জখম অবস্থায় বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। পাশাপাশি রঘুনাথগঞ্জে মৃত্যু হয় মোট ছয় জনের ও সুতিতে মৃত্যু হয় একজনের। মঙ্গলবার বিকেলে ন’টি পরিবারকে আর্থিক ক্ষতি পূরণের চেক তুলে দেওয়া হয়।
Be the first to comment