আগামী বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা নিয়ে অবস্থান কী? বিপ্লব দেবের সরকারের থেকে সেই জবাব তলব করল ত্রিপুরা হাইকোর্ট। আগামিকাল (মঙ্গলবার) সকালে ১০ টা ৩০ মিনিটে সেই মামলার শুনানি শুরু হবে।
বুধবার ত্রিপুরায় অভিষেকের পদযাত্রার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগ করা হয়, পদযাত্রার অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে টালবাহানা করা হচ্ছে। সেই মামলায় বিচারপতি অরিন্দম লোধ নির্দেশ দেন, অভিষেকের পদযাত্রা নিয়ে ত্রিপুরা সরকারের কী অবস্থান, তা জানাতে হবে। সেইসঙ্গে আগামিকাল সকালে শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
সেই নির্দেশের পর তৃণমূলের এক আইনজীবী নেতার বক্তব্য, অভিষেকের নেতৃত্বে পদযাত্রার জন্য পরপর চারবার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ত্রিপুরা সরকার অভিষেকের নাম শুনলেই ভয় পেয়ে যাচ্ছে। তাই একবারও অনুমতি দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই আইনজীবী নেতা।
এমনিতে আগরতলায় পদযাত্রা করতে চেয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেইমতো প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, সেদিন আগরতলা টাউনে অন্য একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি আছে। সেই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের পদযাত্রায় অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। যা নিয়ে ত্রিপুরা পুলিশের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানায় তৃণমূল। অভিযোগ করা হয়েছিল, তৃণমূলের পদযাত্রা করতে না দেওয়ার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অন্য রাজনৈতিক কর্মসূচি তৈরি করা হয়েছে। ক্ষমতার অপপ্রয়োগেরও অভিযোগ তোলা হয়েছিল।
তৃণমূল নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন, প্রাথমিকভাবে পুলিশ অভিষেকের পদযাত্রায় অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু পরে বাতিল করে দিয়েছে। অথচ পুলিশের রুট ধরেই পদযাত্রা করার প্রস্তাবও দিয়েছিল তৃণমূল। সেইসঙ্গে তিনি জানান, পুলিশের সঙ্গে নতুন করে সংঘাতে জড়াচ্ছে না ঘাসফুল শিবির। বরং প্রস্তাবিত রুট ধরেই বৃহস্পতিবার অভিষেকের পদযাত্রার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল।
যদিও পরদিন বিশ্বকর্মা পুজোর কারণ দর্শিয়ে সেই পদযাত্রারও অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাতে অবশ্য ক্ষান্ত হয়নি তৃণমূল। বুধবার পদযাত্রা করতে চেয়ে আবারও আবেদন জানানো হয়েছে। তাতে অবশ্য ত্রিপুরা প্রশাসনের তরফে কোনও জবাব দেওয়া হয়নি।
Be the first to comment