অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে অস্ত্রোপচার হলো। চারদিন আগে তাঁর চোখে একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থই রয়েছেন। তবে চিকিৎসকরা তাঁকে সম্পূর্ণ বেড রেস্টে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। যদিও সেই নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও রবিবার দিল্লি উড়়ে গেলেন তিনি।
সোমবার ইডির তলবে দিল্লিতে হাজিরা দেওয়ার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সে কারণেই রবিবার দিল্লি উড়ে গেলেন সাংসদ। কিন্তু, তিনি এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ”মাত্র চারদিন আগে আমার চোখে একটা অস্ত্রোপচার হয়েছে। চিকিৎসকরা আমাদের বেড রেস্টের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু, তা সত্ত্বেও আমি দিল্লি যাচ্ছি। আমাকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সেখানে সহযোগিতা করতেই আমি যাচ্ছি।”
উল্লেখ্য ২০১৬ সালে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার ঠিক এক সপ্তাহ পর বেলভিউ নার্সিংহোমে একটি অস্ত্রোপচার হল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে মোট তিনধাপে এই জটিল অস্ত্রোপচার করা হয় বলে জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। গাড়ি দুর্ঘটনায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাঁদিকের অরবিট বোন অর্থাৎ চোখের নীচের একটি হাড় ভেঙে গিয়েছিল বলে খবর। অভিষেকের চোখের নীচে ভাঙা অরবিট বোন সারাতে একটি টাইটেনিয়ামের প্লেট বসান অরবিট সার্জেন এবং ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জেনরা। অস্ত্রোপচারের ফলে যাতে গালে কোনও গভীর কাটা দাগ না থাকে, সেজন্য নিখুঁতভাবে অস্ত্রোপচারের তৃতীয় ধাপ সম্পন্ন করেছিলেন প্লাস্টিক সার্জেন এবং ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জেনরা। আট বছর পর ফের একবার অভিষেকের চোখে অস্ত্রোপচার হল।
রবিবার দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে কেন্দ্রীয় সরকারকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। তাঁর কথায়, ”যারা ক্ষমতায় আছে তাঁদের কাছে কোনওভাবেই মাথা নত করব না। মাথা নত করলে কেবলমাত্র মানুষের কাছে করব। আমি এক শেষ দেখে ছাড়ব।” তাঁর আরও সংযোজন, ”কলকাতাতেও তো ED-CBI দফতর রয়েছে। সেখানে তো ডাকতে পারে। আসলে বাংলার মানুষ এদের ল্যাজে-গোবরে করেছে। এদের কাছে মেরুদন্ড বিকোয়নি, তাই এদের এত গায়ে জ্বালা।”
একইসঙ্গে এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড বলেন, ”ইডি-সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে যাদের কোণঠাসা করে রেখেছি, অভিষেক তাঁদের মতো নয়। আমি আত্মসমর্পন করব না।”
Be the first to comment