সকাল ১১ টায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসে প্রবেশ করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে অভিষেক সাফ জানালেন, তিনি মাথা নোয়াবেন না। সেই সঙ্গে কয়লা পাচার বা গরু পাচারের কেলেঙ্কারিতে দায় ঠেললেন সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকে। তাঁর দাবি, গরু যদি ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার হয়ে যায়, তাহলে বিএসএফ কী করে? এই বিষয়টা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন বলে উল্লেখ করে অভিষেক বলেন, ‘এই সব কেলেঙ্কারিকে হোম মিনিস্ট্রি স্ক্যাম বলা উচিত।’
সোমবার সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে ৭ টা পর্যন্ত ম্য়ারাথন জেরা করা হয়েছে অভিষেককে। ইডি সূত্রের খবর, ছ জন আধিকারিক এ দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তৃণমূল সাংসদকে একের পর এক কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, এ দিন থাইল্যান্ডের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নম্বর দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে সেটি কার। অভিষেক সে বিষয়ে মুখ খোলেননি। ওই অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে উল্লেখ করেছেন। সাড়ে চার ঘণ্টা ইডি আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের পর এক ঘণ্টার লাঞ্চ ব্রেক দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। মঙ্গলবার অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকে প্রবর্তন ভবনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি তলব করেছে। তবে রুজিরা যাবেন না বলে জানিয়েছেন অভিষেক।
মূলত কয়লা কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার অভিযোগেই বারবার তলব করা হচ্ছে অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেও দিল্লিতে ইডি দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিষেক। কয়লা কেলেঙ্কারির টাকা বিদেশে রুজিরার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে, এমন অভিযোগও সামনে আসে। আর সেই সব অভিযোগের জেরেই বারবার তলব করা হচ্ছে সাংসদকে।
তবে সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক প্রশ্ন তোলেন, ‘কী এই কয়লা কেলেঙ্কারি? কী এই গরু পাচার কেলেঙ্কারি?’ তাঁর দাবি, গরু কোনও ছোট কীট নয়, একটা বড়সড় প্রানী। তাই গরু যদি ভারত থেকে বাংলাদেশে যায়, তাহলে প্রশ্ন ওঠে বিএসএফ কী করছে? আর বিএসএফ রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে। কয়লাও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে রয়েছে বলে উল্লেখ করে অভিষেক বলেন, ‘এগুলোকে হোম মিনিস্ট্রি স্ক্যাম বলা উচিৎ।’
Be the first to comment