তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলল বিজেপি। এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর নির্বাচনী এজেন্ট তথা পুরুলিয়ার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় অভিযোগ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর্যবেক্ষক শ্রীমতি বিজয়লক্ষ্মীকে।
সুদীপ বলেন, কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী সাংসদ বা বিধায়করা ভোট দিতে আসার জন্য একটি গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন। চালক ও তিনি ছাড়া আর কেউ গাড়িতে থাকতে পারেন না। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নিয়ম ভঙ্গ করে কমপক্ষে ১৫টি গাড়ির কনভয় নিয়ে অভিষেক বিধানসভায় আসেন। সুদীপ চিঠিতে লিখেছেন, ১৫টি গাড়ির কনভয় ছাড়াও একটি পাইলট কারও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এসেছিল। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের বিধি ভাঙা হয়েছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।
ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ বিধানসভা ভবনে পৌঁছন। ভোট দিয়ে হাসিমুখে ছবিও তোলেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য বিজেপির এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। রাজ্যের শাসকদলের মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, ‘অভিষেক জেড প্লাস পর্যায়ের নিরাপত্তা পান। তাঁকে নিরাপত্তারক্ষীরা কোনও সময়ই ছাড়েন না। এদিন অভিষেক বিধানসভায় প্রবেশ করার পরই তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা বেরিয়ে যান।
তবে ভোট দিতে গিয়ে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপিকে একহাত নিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সকালেই গেরুয়া শিবিরের ‘রিসর্ট’ রাজনীতি নিয়ে টুইটারে খোঁচা দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তাঁর কটাক্ষ, ”ক’জন বিধায়ক বিজেপিতে রয়েছে, তা ওরা নিজেরাই জানে না। বিজেপিশাসিত রাজ্যে তো আমাদেরও বিধায়ক রয়েছে, কোথায় তাঁদের তো হোটেলবন্দি করে রাখতে হচ্ছে না। নিজেদের পাপের ফল ভুগছে বিজেপি।”
পাশাপাশি বিজেপির ঘরভাঙার ইঙ্গিত দিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ”ওদের কতজন বিধায়ক রয়েছে, নিজেরাও জানে না। কেউ বলছেন ৭০, কেউ বলছেন ৬০, কেউ বলছেন ৬৯ , কেউ বলছেন ৬৫। মানুষও ওদের সঙ্গে নেই। ওদের বিধায়করাও ওদের সঙ্গে নেই। ভোটের ফল বের হোক, দেখতে পাবেন।” যদিও ‘ক্রস ভোটিং’ নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পালটা দাবি, “তৃণমূলের ২ সাংসদ বিজেপির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন।” এদিকে তৃণমূলের দাবি, তাদের পক্ষে ৯ জন বিজেপি বিধায়ক ক্রস ভোট দিয়েছেন।
Be the first to comment