কয়লা পাচারকাণ্ডে আজ ইডি-র জেরার মুখোমুখি হচ্ছেন না সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডি দফতরে যাচ্ছেন না তিনি। মঙ্গলবার সকালেই ইমেল করে ইডিকে জানিয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত কারণে তিনি যেতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। গত সপ্তাহেই কয়লা পাচার কান্ডে ইডির সমনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। দিল্লিতে গিয়ে বারবার ইডি-র সম্মুখীন হওয়া সমস্যার, সেকথা উল্লেখ করেই আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে জেরা করা হলে, তা যাতে কলকাতাতেই হয়, এটাই দাবি ছিল অভিষেক-রুজিরার। কার্যত ইডি-র এক্তিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সেই মামলা গৃহীতই হয়নি।
প্রসঙ্গত, ইডির সমন পেয়ে গত রবিবারই অভিষেক দিল্লি উড়ে যান। তবে এই সমনের পিছনে যে বিজেপিরই চক্রান্ত রয়েছে, তা দিল্লি যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের সামনে আরও একবার জানিয়ে যান। সেপ্টেম্বর মাসেও দিল্লিতে তলব করা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ম্যারাথন জেরা করা হয় তাঁকে। টানা ৮-১০ ঘণ্টা চলে জেরা পর্ব। এরপরই ইডি সমন থেকে অব্যাহতি চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। সেবার পিটিশন খারিজ করে দেওয়া হয়। এর পিছনেও রাজনৈতিক চক্রান্তের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
অভিষেক বলেছিলেন, “শুনানির পর তিন মাস রায় দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। চার রাজ্যে নির্বাচনে বিজেপি জেতার পরই আমার পিটিশন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এর মাধ্যমে অভিষেক দিল্লি হাইকোর্টের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন।
গত সপ্তাহে ম্যারাথন জেরার মুখে পড়েছিলেন অভিষেক। সেবার তাঁর সঙ্গে যাননি স্ত্রী রুজিরা। তলব করা হয়েছিল তাঁকেও। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিনি। কয়লা কাণ্ডে লিঙ্কম্যান বিনয় মিশ্রের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন করা হয় বলে সূত্রের খবর। ৯ ঘণ্টা জেরার মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। জেরাপর্ব শেষে বেরিয়ে আসার পর সেবার অভিষেক জানান, তাঁকে ডেকে কার্যত হেনস্থা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি এও প্রশ্ন তোলেন, নারদকাণ্ডে কেন শুভেন্দু অধিকারীকে ডাকা হচ্ছে না? পুরোটাই চক্রান্ত বলে উল্লেখ করেন তিনি। এবার ব্যক্তিগত কিছু সমস্যার কথা জানিয়ে তিনি ইডি-র ডাকে গেলেন না।
Be the first to comment