বাংলার পর গোয়ার বিধানসভাই ছিল তৃণমূলের প্রথম পাখির চোখ। গত কয়েকমাসে সৈকত শহরে বারবার ছুটে গিয়েছেন দলের নেতা-মন্ত্রীরা। গোয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন খোদ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মাসে মাসে মহিলাদের ৫ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ। একটিও আসনে ঘাসফুল ফোটানো সম্ভব হয়নি। তবে, হাল ছাড়তে নারাজ তৃণমূল। ফল প্রকাশের পরই অভিষেক দাবি করলেন, আগামী ৫ বছর মাটি কামড়ে পড়ে থাকবেন তাঁরা। ঘাসফুল ফোটাতে বদ্ধপরিকর তিনি।
ফল প্রকাশের পর গোয়া থেকে ফিরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক দাবি করেন, তৃণমূল গোয়ায় যা করে দেখিয়েছে, তা বিজেপিও করতে পারেনি। এ দিন অভিষেক বলেন, ‘চারটে আসনে আমরা অত্যন্ত কম ব্যবধানে হেরেছি। মাত্র এক হাজার থেকে ১২০০ ভোটের ব্যবধান।’ তিনি জানিয়েছেন, গোয়ায় এমন কয়েকটি বিধানসভা আসন রয়েছে যেখানে তৃণমূল তিন মাসের মধ্যেই ৩০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। তাই আগামিদিনে ভালো ফল করার ক্ষেত্রে আশাবাদী তিনি।
গোয়ায় থেকে ময়দানে লড়াই করার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘আগামী ৫ বছর মাটি কামড়ে পড়ে থাকব। অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে আমরা হয়তো সবার কাছে সে ভাবে পৌঁছতে পারিনি।’ ৬ শতাংশ ভোট সার্বিকভাবে তৃণমূল পেয়েছে গোয়ায়। এটা অন্য কোনও রাজনৈতিক দল করে দেখাতে পারেনি বলেও উল্লেখ করেন অভিষেক। তাঁর দাবি, বিজেপিও কোথাও এরকমটা করে দেখাতে পারেনি। তাই এই ফলাফলকে একটা বড় সাফল্য বলেই উল্লেখ করেছেন তিনি।
পরাজয়ের কারণ নিয়ে আলোচনা হবে দলের অন্দরে। পর্যালোচনা করে নেওয়া হবে নতুন রণকৌশল। তবে, ২২- এর এই ফলাফলের জন্য গোয়া ছেড়ে আসার কথা এখনই ভাবছে না তৃণমূল।
উল্লেখ্য, গোয়ায় মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টির সঙ্গে জোট করে লড়েছিল তৃণমূল। তৃণমূল কোনও আসন পায়নি। তবে তিনটি আসন পাওয়ার পর সরকার গঠনে বিজেপিকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছে তৃণমূলের জোটসঙ্গী মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টি।
Be the first to comment