মহিলাদের বিক্ষোভ-আন্দোলনে তপ্ত সন্দেশখালি। উত্তম সর্দার, শিবু হাজরা গ্রেফতার হলেও এখনও অধরা শেখ শাহজাহান। রবিবারই আটক করা হয়েছে অজিত মাইতি নামে আরেক অভিযুক্ত শাসক-নেতাকে। এক মাসের বেশি সময় ধরে চলছে বিক্ষোভ-আন্দোলন। বাম, কংগ্রেস, বিজেপি থেকে দিল্লির একাধিক কমিশন ঘুরে গিয়েছে সন্দেশখালি। তৃণমূলের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক আর সুজিত বসুও যাচ্ছেন বটে। কিন্তু তৃণমূলের কোনও সভা মিটিংয়ের কোনও পরিকল্পনা নেই সেখানে? এ নিয়ে এদিন প্রশ্ন করা হয় তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, “যখন যাওয়ার প্রয়োজন যাব। পরিস্থিতি ঠিক হলে যাব। প্ররোচনা দিয়ে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করতে চাই না। বিজেপি সিপিএম এসব করে।”
অভিষেক বলেন, “এই যে একদিন শুভেন্দু অধিকারী যাচ্ছেন, আরেকদিন সুকান্ত মজুমদার যাচ্ছেন, আরেকদিন অগ্নিমিত্রা পল যাচ্ছেন। একদিন আবার মহিলা মোর্চা। এরা সকলে একসঙ্গে হাইকোর্টে আবেদন করে একসঙ্গে যাচ্ছে না কেন? কারণ দিল্লি থেকে বলা হয়েছে ইস্যু যেন বেঁচে থাকে। সন্দেশখালিতে লাইম লাইট আছে, তা নিতে সকলে ছুটছে।” এখনও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। অভিষেক বলেন, “২৯ তারিখ অবধি পরীক্ষার জন্য এমনিই মিটিং মিছিল করা যাচ্ছে না। ১০ তারিখ ব্রিগেড। তা নিয়েও প্রস্তুতি চলছে। ব্রিগেড সমাবেশ হয়ে গেলে তারপর আমি নিশ্চয়ই যাব।”
৩ মার্চ সন্দেশখালি ইস্যুতে কর্মিসভার ডাক দিয়েছে তৃণমূল। যেখানে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্বের থাকার কথা। রবিবার মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসুর উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয় সেই সভা সন্দেশখালিতে নয়, হবে ধামাখালিতে।
এদিন সন্দেশখালিতে মহিলাদের বিক্ষোভ নিয়েও অভিষেক বলেন, “মহিলারা হয়ত এতদিন ভয়ে কিছু বলেননি বলে মেনে নিলাম। ২০১৬ অবধি সিপিএমের ছিল এই এলাকা। বিধায়কও সিপিএমের ছিলেন। সিপিএমের নেতা নিরাপদ সর্দার, বিজেপির নেতা বিকাশ সর্দাররা কেন বলেননি প্রকাশ্যে? আজকে সুকান্ত, শুভেন্দুরা শেখ শাহজাহানের কথা বলছেন। শাহজাহানের সঙ্গেও তো শুভেন্দুর ছবি পাবেন সংবাদমাধ্যমে। উনি কেন বলেননি? মানছি উনি তৃণমূলে ছিলেন। ২০২০-তে তো বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ২১-২২-২৩-২৪ এতটা সময় কেন বলেননি? নিরাপদ সর্দার, বিকাশ সর্দার তো সন্দেশখালিতে থাকেন। তাঁরা কেন চারটে সংবাদমাধ্যম ডেকে বা একটা চিঠি করে জানালেন না? এই প্রশ্ন আমার মনেও আছে।”
Be the first to comment