অপেক্ষা আর কয়েক ঘন্টার। শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্ট ডাউন। আগামী শুক্রবার ফের একটি একুশে জুলাইয়ে তৃণমূলের সমাবেশের সাক্ষী হবে গোটা বাংলা। এবার একুশের জুলাইয়ে তাৎপর্য অনেকটাই আলাদা। একদিকে পঞ্চায়েতে বিপুল জয় উদযাপন, অন্যদিকে লোকসভা ভোটের আগে এটাই বাংলার শাসক দলের শেষবৃহত্তর সমাবেশ। সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নেতা-কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে কী বার্তা দেন সেদিকেই নজর সকলের।
এদিকে জোর কদমে চলছে একুশে জুলাইয়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই উত্তরের ও দূরের জেলাগুলি থেকে কাতারে কাতারে মানুষ আসতে শুরু করেছে। সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক, কসবা গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র সহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দিন কয়েক আগেই সেন্ট্রাল পার্কের তাঁবু পরিদর্শনে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিকেলে তিনি গেলেন গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে। এখানে মূলত মালদা ও মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলা থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দায়িত্বে আছেন স্থানীয় কাউন্সিলর তথা বোরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ।
এদিন গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে গিয়ে প্রথমেই শহিদ বেদিতে মাল্যদান করে ১৩ জন শহিদকে শ্রদ্ধা জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর বেশ কিছুক্ষণ তিনি গোটা স্টেডিয়ামে ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখেন। কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে শুভেন্দু বিনিময় করেন। খাওয়ার জায়গা থেকে মেডিক্যাল ক্যাম্প ঘুরে দেখেন। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন দায়িত্বে থাকা নেতাদের। এদিন অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন।
Be the first to comment