আজ মঙ্গলবার ২৫ বৈশাখ।বিশ্বকবির জন্মদিনে বীরভূমেই নবজোয়ার কর্মসূচি সূচনা করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু কর্মীদের মধ্যেই নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যেও প্রবল উৎসাহ তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই বীরভূম জুড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাতে লাগানো হয়েছে ব্যানার ও ফেস্টুন। কর্মীরাও উৎসাহিত। কারণ গণতান্ত্রিক ভাবে প্রার্থী বাছাইয়ের সুযোগ করে দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
সাতসকালে মুর্শিদাবাদ থেকে রওনা হয়ে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় লোহাপুর দিয়ে বীরভূমে প্রবেশ করার কথা অভিষেকের। এরপর নলহাটি-চাতরা হয়ে মারগ্রামে কর্মসূচি রয়েছে। আগামী তিনদিন বীরভূমজুড়ে কর্মসূচি পালন করবেন তিনি। আজ রবীন্দ্রজয়ন্তী। বীরভূম জেলার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। দিনভর শান্তিনিকেতনে প্রাণের কবিকে শ্রদ্ধা জানাতে নানান অনুষ্ঠান রয়েছে। শুধু শান্তিনিকেতন কেন, গোটা বীরভূম জেলা জুড়েই হবে সরকারি-বেসরকারি নানা অনুষ্ঠান। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও শ্রদ্ধা জানাবেন কবিগুরুকে। সঙ্গে কর্মসুচির অঙ্গ হিসেবে জনসংযোগ-জনসভা ছাড়াও একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। আজ থাকবেন তারাপীঠে। সেখানেই হবে অধিবেশন-গোপন ভোট। তারামায়ের মন্দিরে পুজো দেবেন আজই।
সাংগঠনিকভাবে এই মুহূর্তে বীরভূম নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দেখছেন। জেলায় দলের কোর কমিটি রয়েছে। সেখানে মন্ত্রী-সাংসদ-জেলা পরিষদের সভাধিপতি সকলেই রয়েছেন। এমনিতেই নানা ভাষা, নানা বৈচিত্রে ভরা এই বীরভূম জেলা। এর আগের কয়েকটি জেলায় দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে সাংগঠনিক আলোচনা করেছেন অভিষেক। দিয়েছেন প্রয়োজনীও নির্দেশ। রাজনৈতিক দিক থেকে বীরভূম জেলার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। সব বিরোধী দলের নজর এই জেলায়। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বীরভূম সফরে নজর থাকবে সকলের।
Be the first to comment