বুধবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে ঢুকেছিলেন অভিষেক। সেখান থেকে বেরোলেন রাত পৌনে ৯টা নাগাদ। বেরিয়েই এই ঘটনাকেই রাজনৈতিকভাবে বিজেপির চক্রান্তকেই কাঠগড়ায় তুললেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন, “তদন্তকারী অফিসারদের আমি কোনও দোষ দিচ্ছি না। ওঁরা ওঁদের কাজ করছেন। আগের দিন বলেছিলাম, ৮ ঘণ্টা জেরার নির্যাস হল শূন্য। আজ বলছি, ৯ ঘণ্টা জেরার নির্যাস হল মাইনাস টু। এর পরের দিন ডাকলে মাইনাস ফোর হয়ে যাবে।” অভিষেক এও বলেন, ৯ ঘণ্টা কেন ২৪ ঘণ্টা জেরা করলেও আমার কিছু যায় আসে না।
অভিষেক বোঝাতে চান, পুরোটাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়ে করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এর আগে পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে আমাকে ডাকা হয়েছিল। তখন অপারগতার কথা জানিয়েছিলাম। আজ আবার এমন সময়ে ডেকেছে যেদিন ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক ছিল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এও জানান, ইন্ডিয়া জোটের নেতারা ফোনে তাঁকে বলেছিলেন ইডির জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার না যেতে। বরং সমন্বয় কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে। কিন্তু তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, না তিনি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হবেন। বুক চিতিয়ে যাবেন সিজিওতে।
এদিন ইডি দফতর থেকে অভিষেক যখন বেরিয়ে আসেন তখন সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে ঝির ঝির করে বৃষ্টি পড়ছিল। অভিষেক ছাতা মাথায় দিয়ে সাংবাদিক বৈঠকের জন্য হাতে মাইক্রোফোন তুলে নেন। তাঁর সাংবাদিক বৈঠকের মধ্যে অভিষেক কিছুটা সময় ধরে প্রায় বক্তৃতা দেন। তিনি বলেন, গত ৮ বছর ধরে সারদা মামলার তদন্ত হচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কী হয়েছে। গত ১৪ মাস ধরে জেল হেফাজতে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে কী প্রমাণ হয়েছে। আসলে ইডি-সিবিআই যেভাবে ডাকাডাকি করছে তা একটা প্রথা হয়ে গিয়েছে। ভোট আসলে ডাকাডাকি করবে। আবার থেমে যাবে। এই কদিন আগে ধূপগুড়িতে বিজেপি হেরেছে, লোকসভা ভোট আসছে, তাই ডাকাডাকি করছে। কিন্তু ইডি-সিবিআইয়ের তদন্তে কেউ ন্যায় বিচার পেয়েছেন তা বলতে পারবে না। সারদা, রোজভ্যালি কাণ্ডে যাঁদের টাকা মার গিয়েছে, তারা তো এখনও বিচার পাননি। আর যাঁরা টিভি ক্যামেরায় টাকা নেবেন, তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিলেও সাত খুন মাফ।
Be the first to comment