প্রায় দু’মাস কেটে গেলেও জাতি দাঙ্গায় অগ্নিগর্ভ মণিপুরের পরিস্থিতি কোনওভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি রাজ্য ও কেন্দ্রের প্রশাসন। বিজেপি শাসিত ডাবল ইঞ্জিন
মণিপুর ইস্যুতে সংসদের দুই কক্ষে বিবৃতি দিন প্রধানমন্ত্রী। এমন দাবি তুলে আজ, সোমবার সকাল থেকেই চাপ বাড়াল তামাম বিরোধী শিবির। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সংসদ ভবনের বাইরে গান্ধীমূর্তির সামনে ধর্ণা কর্মসূচি শুরু করল “INDIA” জোটের শরিক দলগুলি। INDIA’র এই অবস্থান বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সম্মিলিত বিরোধীদের মূল দাবি একটাই, লোকসভা ও রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রীকে মণিপুর নিয়ে বিবৃতি দিতে হবে। যেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের রাজ্যসভা লোকসভার প্রায় সব সাংসদই হাজির ছিলেন। মণিপুর ইস্যুতে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান তোলেন সকলে।
এদিন ধর্ণার চলাকালীন মণিপুর ইস্যুতে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে সরব হতে দেখা যায় ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, “মণিপুরের ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতেই বাংলা, রাজস্থান প্রসঙ্গ তুলে আনছেন বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা। কিন্তু তাতে লাভ হবে না। মণিপুরে কী ঘটছে, দেশের মানুষ তা বুঝতে পারছেন। প্রধানমন্ত্রী কোনও প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেন না। ২০২২-এর মধ্যে দেশের সবার মাথার উপর ছাদ থাকবে বলেছিলেন, কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। আর এদিকে বিপুল টাকা খরচ করে নতুন সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। লজ্জায় মাথায় হেঁট হয়ে যায়।”
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং এদিন সমস্ত বিরোধী দলের নেতাকে ফোন করে সুষ্ঠু ভাবে সংসদ চালাতে সহযোগিতা চান।ফোন করেছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদসুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। সুদীপবাবু তাঁকে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী সংসদে বিবৃতি না দিলে সুর নরম হবে না। মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি চাই।”
Be the first to comment