ক্ষমতায় এলে বাংলার মডেলেই উন্নয়ন হবে ত্রিপুরাতেও। সোমবার, নির্বাচনী প্রচারের শেষ বেলায় ত্রিপুরার বক্সনগরের জনসভা থেকে এই বার্তাই দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে স্বাস্থ্যসাথী, কৃষকবন্ধু থেকে স্টুডেন্স ক্রেডিট- সব প্রকল্প চালু হবে ত্রিপুরাতেও। অভিষেক বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট পূর্ব প্রতিশ্রুতি মিথ্যা আশ্বাস নয়। তিনি যা বলেন, করে দেখান। বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগও করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
শেষবেলার প্রচারে এদিন বক্সনগরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সভা ঘিরে তুমুল উন্মাদনা ছিল তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে। বিজেপিকে তুলোধনা করে অভিষেক বলেন, বিজেপি নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু ভোটের পরে তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু প্রতিশ্রুতি দেন না, তা বাস্তবায়িত করে দেখান। ত্রিপুরায় বাম ও বিজেপির অপশাসনের অভিযোগ তোলেন অভিষেক। সে রাজ্যে পালাবদলের ডাক দেন তিনি। তাঁর আশঙ্কা, “ত্রিপুরায় বিজেপি জিতলে রান্নার তেলের দাম ২০০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০০ টাকা হয়ে যাবে।”
অভিষেক বলেন, বিজেপি ডবল ইঞ্জিনের সরকার আসলে ডবল ভাঁওতা। ত্রিপুরায় গণতন্ত্র লুণ্ঠিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অভিষেক। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি (BJP) টাকা দিয়ে ভোটার কিনতে যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, “টাকা দিলে নিয়ে নিন, ওটা আপনার টাকা।“ বিজেপি ৫০০ টাকা দিলে আরও বেশি দর বাড়ানোর পরামর্শ দিলেন অভিষেক। “ভোটের ৫-৭ দিন আগে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করবে। ৫০০ টাকা দিলে ১০০০ টাকা চান। এক হাজার টাকা দিলে ২ হাজার টাকা চান। এটা আপনাদেরই টাকা। গত ৫ বছর ধরে ওরা আপনাদের টাকা শুষে নিয়েছে। সেই টাকা ফেরত নিন। কিন্তু ভোটটা তৃণমূলকে দিন।”
বাংলার সঙ্গে ত্রিপুরার তুলনা টানেন অভিষেক। ভাষা, খাদ্য, পোশাক সবই এক বাংলা ও ত্রিপুরার। অভিষেকের কথায় “কে প্রার্থী মনে রাখার দরকার নেই। সমস্ত আসনে মমতাই প্রার্থী। জোড়া ফুলের ভোট দেওয়া মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়া।”
Be the first to comment