ত্রুটির কারণে বাতিল হয়েছিল পুরুলিয়ার জয়পুরের তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল কুমারের মনোনয়ন পত্র। তারপর কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েও লাভ হয়নি তৃণমূল প্রার্থীর। প্রথমে সিঙ্গল বেঞ্চ কমিশনের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিলেও, ডিভিশন বেঞ্চে মামলা জিতে যায় কমিশন। অগত্যা এবছর আর ভোটে দাঁড়ানো হচ্ছে না উজ্জ্বল কুমারের। সেক্ষেত্রে ২৯১-এর বদলে ২৯০ আসনে লড়তে হচ্ছে তৃণমূলকে। যা বেশ অস্বস্তির।
কিন্তু মঙ্গলবার পুরুলিয়ার মানবাজারে নির্বাচনী জনসভা থেকে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় ৮-এ ৮ করার ডাক দিলেন কর্মীদের। কিন্তু একটি আসনে তো প্রার্থীই নেই। তাহলে সব আসনে জেতা কী করে সম্ভব? তারও উপায় বাতলে দিলেন অভিষেক।
ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ এদিন জনসভা থেকে আহ্বান করেন, প্রয়োজনে জয়পুর কেন্দ্রে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি কাউকে নয়, নির্দল প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জেতাতে হবে। কিন্তু এমন ডাক দেওয়ার কারণ কী?
এর পিছনে রয়েছে প্রার্থী তালিকা নিয়ে দলীয় অসন্তোষ। উজ্জ্বল কুমারকে দল প্রার্থী করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন জয়পুর ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি দিব্যজ্যোতি সিং দেও। পরে তিনি নির্দল হয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেন। তিনিই বর্তমানে নির্দল হয়ে লড়বেন। কিন্তু উজ্জ্বলের মনোনয়ন নিয়ে কমিশন প্রথমে বাতিল করায় তখনই অশনি সংকেত পায় জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই প্ল্যান-বি সাজিয়ে ফেলে তারা। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ গুরুপদ টুডু তখনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সেক্ষেত্রে নির্দল দিব্যজ্যোতিকে সমর্থন করবে তৃণমূল।
তারই আভাস এদিন দিলেন অভিষেক। দিব্যজ্যোতি যুব তৃণমূলের ভালো সংগঠক। ব্লকে বেশ নাম ডাক। এবার প্রার্থী হবেন আশা করেছিলেন। কিন্তু টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে ভোটে লড়ছেন। তবে রাজনীতিতে অসম্ভব কিছু নেই। তৃণমূল যদি তাঁকে সমর্থন করে, তাহলে জিতে ফের দলে ফিরে আসার রাস্তা খোলা থাকবে। এদিন অভিষেক স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, পুরুলিয়ার জয়পুর আসনে দলীয় প্রার্থী না থাকায় নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করবে তৃণমূল।
Be the first to comment