কয়লাকাণ্ড পিছু ছাড়ছে না অভিষেক-রুজিরার! ফের দিল্লিতে তলব ইডির

Spread the love

কয়লাকাণ্ডে ফের তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল ইডি। অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ডেকে পাঠানো হয়েছে। দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজির থাকতে বলা হয়েছে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে। আগামী সপ্তাহেই দিল্লিতে ইডির দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতিতে।

উল্লেখ্য, এর আগেও দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল অভিষেক ও রুজিরাকে। সেই নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ ও তাঁর স্ত্রী। তাঁদের বক্তব্য ছিল, তাঁরা উভয়েই কলকাতার বাসিন্দা। তাহলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের দিল্লিতে তলব করা হচ্ছে কেন? জিজ্ঞাসাবাদ যা করার, তা যাতে কলকাতাতেই করা হয় সেই আবেদন করা হয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টে। কিন্তু হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সম্প্রতি। আর তারপরই ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রুজিরাকে দিল্লিতে ইডির অফিসে ডেকে পাঠানো হল।

দিল্লি হাইকোর্টে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছিলেন, ইডির তদন্তের এক্তিয়ার কোনও একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে আবদ্ধ নয়। এদিকে অভিষেকদের পক্ষে আইনজীবী কপিল সিবাল বলেছিলেন, ইডিকে যদি জিজ্ঞাসাবাদ করতেই হয়, তাহলে কলকাতায় গিয়ে যাতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রুজিরা উভয়েই পশ্চিমবঙ্গেরই বাসিন্দা। কিন্তু এতেও পাল্টা যুক্তি দেওয়া হয় ইডির তরফে। বলা হয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন সাংসদ। সে ক্ষেত্রে অধিবেশন চলাকালীন তাঁকে নিশ্চয়ই দিল্লিতে থাকতে হয়। তাই, দিল্লিতেও তাঁর একটি ঠিকানা নিশ্চয়ই রয়েছে।

উল্লেখ্য, দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্ট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন খারিজ করে দেয়। আর তারপরই বুধবার ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির থেকে বলা হল, আগামী সপ্তাহে ফের বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতিকে হাজির থাকতে হবে ইডির সদর দফতরে। উল্লেখ্য, এর আগে অভিষেক ইডির দিল্লির অফিসে গেলেও হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে অভিষেকদের ডেকে পাঠানো প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও যথেষ্ট বিরক্ত। মুখ্যমন্ত্রী বুধবার বলেন, “মিথ্যা অভিযোগে অভিষেককে ডাকা হচ্ছে। তাঁর স্ত্রীকে ডাকা হচ্ছে। কয়েকদিন পর দুই বছরের বাচ্চাটাকেও ডাকবে।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*