চিকিৎসার জন্য দুবাইয়ে যাওয়ার অনুমোদন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্ট ৫ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ সোমবার সেই আবেদনের শুনানিতে সম্মতি দিয়েছে। অভিষেকের হয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বাল। চিকিৎসার জন্য অভিষেকের দুবাই যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয় তুলে ধরেন তিনি। যদিও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি তাতে সম্মত নয়। তদন্তকারী সংস্থা ইতিমধ্যেই তার বিরোধিতা করেছে। আদালতে তারা দাবি করেছে, বাইরে গেলে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আর নাও দেশে ফিরতে পারেন। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আবেদনটি শুনবে। দু’পক্ষেরই বক্তব্য শুনবেন বিচারপতি।
গত ১৭ মে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলে কলকাতায় গিয়েই তা করতে পারে। এর আগে একাধিকবার তাঁদের দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়। যা নিয়ে অভিষেক আদালতেরও দ্বারস্থ হন। ইডির কাছে সে সময় সুপ্রিম কোর্ট জানতেও চেয়েছিল, কেন অভিষেককে কলকাতার বদলে দিল্লিতে ডাকা হচ্ছে? এরপরই সওয়াল-জবাব পর্ব শেষে ইডিকে কলকাতায় তাঁদের তলবের কথা বলা হয়।
গত শুক্রবারই ইডি কলকাতায় সিজিও কমপ্লেক্সে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায়। সেখানে অভিষেক বলেন,”গত দু’ বার দিল্লিতে যেতে হয়েছিল। কিন্তু এইবার দিল্লি থেকে আদালতের নির্দেশে কলকাতায় আসতে হচ্ছে। এটা প্রথম নৈতিক জয়।” কয়লা পাচার মামলায় এর আগেও অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে সমন পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
যদিও শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে অভিষেক স্পষ্ট বলেন, “আমি তো দু’ বছর আগেই বলেছি, আমার সঙ্গে বিন্দুমাত্র কোনও যোগসাজশ বা যোগসূত্র যদি এই কেলেঙ্কারিতে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, যদি পাঁচ পয়সা এখান থেকে আমি নিয়েছি… তাহলে আমার পিছনে ইডি বা সিবিআই লাগানোর দরকার নেই। একটি ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করবেন। সেখানে গিয়ে মৃত্যুবরণ করব। আমি আমার বক্তব্য পাল্টাচ্ছি না।”
Be the first to comment