মমতার পর কে? তৃণমূলের অন্দরে চিরকালীন প্রশ্ন এটাই। বলার অপেক্ষা রাখে না, এমন প্রশ্নের কোনও সরাসরি উত্তর এতকাল জানা যায়নি। তবে মঙ্গলবার বিকালে খানিকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই জানা গেল মমতার উত্তরাধিকারীর নাম। যাঁরা এই নামে সিলমোহর দিলেন, এই মুহূর্তে তৃণমূল সংগঠনে তাঁরা দোর্দণ্ডপ্রতাপ দুই নেতা- সুব্রত বক্সি ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
উপলক্ষ ছিল ডায়মণ্ডহারবারে সাংসদ অভিষেকের বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিপোর্ট কার্ড জনসমক্ষে নিয়ে আসা। মঞ্চে উপস্থিত সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা। আর সেখান থেকেই কার্যত ‘অভিষেক হয়ে গেল’ অভিষেকের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর তৃণমূলের ব্যাটন যে অভিষেকের হাতেই যাবে এদিন সে কথা স্পষ্ট করে দিলেন সুব্রত-পার্থরা। আরও একধাপ এগিয়ে মদন মিত্রের ঘোষণা, আগামী দিনে দিল্লি শাসন করবেন মমতা আর রাজ্যের তখতে থাকবেন অভিষেক।
আগামী দিনের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়ের নেতৃত্বে যে তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয়রা মুগ্ধ,এদিন নিজমুখেই তা স্বীকার করে নেন উপস্থিত প্রায় সকলে। মঙ্গলবার পরন্ত বিকালে মদন মিত্র বলেন, “অভিষেক আমায় কিনে নিয়েছে ওর ভালবাসা দিয়ে। মমতা দিল্লি সামলাবেন আর অভিষেক আমাদের ভবিষ্যৎ।”
মদন মিত্রের কথাই যেন অনুরণিত হয়েছে মমতার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ সোনালী গুহর কথায়। বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার এদিন বলেন, “আগে আমরা ভাবতাম দিদি দিল্লি গেলে, বাংলা কে দেখবে? কিন্তু এখন জানি, বাংলা সামলাবে অভিষেক।” অন্যদিকে, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “একদিন আমরা থাকব না, মমতাও থাকবেন না। কিন্তু, মমতা একা লড়ে পথ দেখিয়েছেন, আর অভিষেক ছোটোবেলা থেকে দেখে তা শিখেছেন। অভিষেক সারা বাংলার প্রতীক। নেতাই (অভিষেক) তৈরি করবে তাঁর নতুন টিম”।
Be the first to comment