বাসে করে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পরিযায়ী শ্রমিকরা। আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের কুশীনগরের কাছে ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় একটি ট্রাকের। পুলিশ জানিয়েছে, হিমাচলপ্রদেশ থেকে বিহারে ফিরছিলেন ওই পরিযায়ী শ্রমিকরা। বাসে ছিলেন অন্তত ২৫ জন শ্রমিক। বাস-ট্রাক সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়রাই প্রথম দুর্ঘটনার খবর দেয় পুলিশে। কুশীনগরের কাছে একটি পেট্রল পাম্পের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটিই ধাক্কা মারে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাসে। পুলিশ জানিয়েছে, ২৮ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর পাথেরওয়া এলাকায় একটি পেট্রল পাম্পের সামনে রবিবার রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়দের থেকে দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশবাহিনী। এলাকাবাসীর সাহায্যে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় তামকুহি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। যাঁদের চোট গুরুতর তাঁদের সেখান থেকে গোরক্ষপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পলাতক ট্রাক চালকের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
লকডাউনে বাড়ি ফেরার পথে পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কোথাও পায়ে হেঁটে ফেরার সময় রাতের অন্ধকারে হাইওয়ের উপর দ্রুত গতির গাড়ি পিষে দিচ্ছে তাঁদের। কখনও বা সাইকেল চালিয়ে ফেরা শ্রমিকরা পথ দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছেন। অক্লান্ত পরিশ্রম, অনাহারে টানা দীর্ঘ পথ হাঁটা, অপুষ্টি, অতিরিক্ত ক্লান্তি, তীব্র গরমে ডিহাইড্রেশন এবং চড়া রোদের তেজে হিট স্ট্রোক কিংবা অসুস্থ হয়েও মৃত্যু হয়েছে বহু ভিনরাজ্যের শ্রমিকের।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের আউড়িয়ার কাছে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জন পরিযায়ী শ্রমিকের। পায়ে হেঁটে হাইওয়ে ধরে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। এঁদের মধ্যে ছিলেন বাংলারও চারজন শ্রমিক। এই ঘটনার পরেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নির্দেশ দেন যে উত্তরপ্রদেশের সীমানা থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার জন্য বাসের ব্যবস্থা করবে সরকার। যাতে পায়ে হেঁটে বা অন্য উপায়ে বাড়ি ফেরার সময় কেউ প্রাণ না হারান।
Be the first to comment