রোজদিন ডেস্ক :-
খুন করেছে বলে স্বীকার করলেও ধর্ষণের অভিযোগ মানতে নারাজ জয়নগরে শিশু হত্যায় অভিযুক্ত। বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি জানান, খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত। তবে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেননি ধৃত যুবক। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শুক্রবার রাতে জয়নগরের মহিষমারি এলাকায় একটি জলাভূমি থেকে ন’বছরের একটি শিশুর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে তেতে ওঠে এলাকা। ঘটনা ঘিরে শনিবার সকাল থেকে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় জয়নগর থানা এলাকার মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা।
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে স্থানীয় ফাঁড়িতেও হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের একাংশের বিরুদ্ধে। ফাঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এমকী পুলিশকে ঝাঁটাপেটাও করেন গ্রামবাসীদের একাংশ। ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন বলে খবর। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব়্যাফ নামানো হয়। লাঠিচার্জও করে পুলিশ। জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়।
তবে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার যে অভিযোগ উঠেছে তা মানতে নারাজ পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, “শিশু নিখোঁজের অভিযোগ পাওয়ার পরে কোনও সময় নষ্ট করেনি পুলিশ। এখানে মহিষমারি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। রাত ৯টা নাগাদ খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। কোথা থেকে শিশুটি নিখোঁজ হয়েছিল, কোথায় তাকে শেষবার দেখা গেছে, এই তথ্যগুলি সংগ্রহ করা হয়েছিল তখনই। কোনও শিশু নিখোঁজ হলে অপহরণের মামলা রুজু করা হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। রাতেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়। এর তিন-চার ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয় তাকে। ওই যুবক অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। খুনের কথা কবুল করলেও ধর্ষণের কথা স্বীকার করেনি। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
এসপি আরও জানান, পুলিশের কেউ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিলেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন পুলিশ ক্যাম্পে আগুন ধরানোর ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে পদক্ষেপ করা হবে।
Be the first to comment