সকাল থেকেই চলছিল তল্লাশি। আর রাতে দক্ষিণ কলকাতার ডায়মন্ড সিটি আবাসন থেকে বিপুল টাকা উদ্ধার করল ইডি। ইডির দাবি, সেই টাকার অর্থমূল্য কম করে ২০ কোটি। তিনটি নোট গোনার মেশিন নিয়ে ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের ডেকে উদ্ধার হওয়া টাকা গোনা হয় বলে দাবি তদন্তকারীদের। উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক মোবাইল। নথিপত্র ও সোনার গহনা। এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নামে একজনের বাড়ি থেকে। যিনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি ইডির।
তবে কে এই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়? সূত্রের খবর, পেশায় তিনি আইনজীবী। পাশাপাশি অর্পিতা মডেলিংও করতেন। কলকাতার একটি পুজোর মডেল-মুখও ছিলেন তিনি বলে জানা গিয়েছে। পুজোর ব্যানারে তাঁর একাধিক ছবিও রয়েছে। যদিও সবই প্রাথমিকভাবে তদন্তে জানা গিয়েছে। তিনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেও দাবি ইডির।
ইডি সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন থেকে থেকে তাঁর সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পরিচয়। তবে এসএসসির তদন্তে অর্পিতার আবাসনে কেনই বা গেল ইডি, তাঁর ফ্ল্যাট থেকে এত বিপুল পরিমাণ টাকা কোথা থেকে এল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
শুক্রবার শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। এদিন প্রায় ১৩টি জায়গায় ৮০-৯০ জন ইডির আধিকারিকরা অভিযান চালায়। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিনহা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টচার্য এবং পর্ষদ সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীকেও।
জুনের শেষ থেকেই এসএসসির দুর্নীতি মামলায় আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তদন্তের গতি বাড়িয়েছে ইডি। সম্প্রতি ৬০ জন প্রাথমিক শিক্ষককে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে ইডি। অভিযোগ, ওই সব শিক্ষকদের নিয়োগ করা হলেও তাঁদের কোনও ওএমআর শিট ছিল না। ইতিমধ্যেই লেনদেনের কিছু নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে ইডি। বাগদা-রঞ্জন কাণ্ডেও একাধিক সূত্র মিলেছে। সেই তদন্তের অগ্রগতির জন্যই ওই শিক্ষকদের তলব করেছিল ইডি।
Be the first to comment