সভা শেষের আগেই মঞ্চ ছাড়লেন অধীর

Spread the love

ব্রিগেডের সভা শেষ হওয়ার আগেই চলে গেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তার আগে ব্রিগেড মঞ্চে কংগ্রেসেকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের আব্বাস সিদ্দিকি। তাতে কিছুটা আক্রমণের সুরও ছিল বলে রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছে। ঘটনাচক্রে আব্বাস আসার আগে বক্তব্য রাখতে উঠে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।বলেছিলেন, ‘এত বড় সভায় বক্তব্য রাখার সুযোগ আমার জীবনে এই প্রথম।’ তারপরেও তাঁর দ্রুত তার চলে যাওয়া নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

এদিন অধীর বক্তব্য রাখার মাঝেই সমাবেশে এসে পৌঁছন আব্বাস। মাঠে উচ্ছ্বাসের জেরে কয়েক সেকেন্ডের জন্য বক্তব্য থামাতে হয় অধীরকে। অধীরকে পোডিয়াম থেকে কিছুটা সরেও যেতে দেখা যায়। মাস্কও পড়ে নেন তিনি। বাম নেতারা যদিও তাঁকে ফিরিয়ে আনেন। বক্তব্য দ্রুত শেষ করেন তিনি। এরপরে আবার আব্বাস তাঁর বক্তব্যে প্রথম কয়েক মিনিট কংগ্রেসের নামই নেন না। বামেদের যে আসনে প্রার্থী দেবে জেতানোর কথা বলেন।

পরে যদিও কংগ্রেসকে নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দেন তিনি। ‘তোষণ নয়, ভাগীদার’ হতে এসেছেন বলে সাফ বলেছেন আব্বাস। বন্ধুত্ব করতে এলে তাঁর দরজা খোলা রয়েছে বলেও এদিন ব্রিগেড মঞ্চ থেকে বলেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা। সব মিলিয়ে এই গোটা পর্ব এদিন ছিল যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ন।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বামেদের সঙ্গে ISF-এর আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত হলেও, কংগ্রেসের সঙ্গে জট এখনও কাটেনি। ISF-এর দাবিমতো আসন ছাড়তে এখনও রাজি নন অধীর চৌধুরীরা। MIM-কে সঙ্গে নেওয়ার পক্ষে আব্বাসের সওয়ালের পর অন্য জটিলতা তৈরি হয়েছে। ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকি বলেছিলেন, ‘MIM-কে সঙ্গে রাখা দরকার, না হলে বিহারের মতো অবস্থা হবে। মিমকে রাখা যাবে না, এমন কোনও শর্ত কোনও বৈঠকে কেউ চাপায়নি।’ আবার একটা অংশ মনে করছেন, CPM, ISF-কে ৩০টি আসন দেওয়ার কথা বললেও কংগ্রেস এখনও কিছু বলেনি। কিছু বিষয় নিয়ে গো ধরে রয়েছে তারা। দুটি জেলা নিয়ে জটিলতা আছে। আর তাতেই সমস্যা অব্যাহত।

অন্যদিকে, এদিন ছত্তিশগড় মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল বলেন, ‘গোটা দেশ জুড়ে ঘৃণার চাষ করছে BJP। মোদীজি বলেছিলেন, দেশ বিক্রি হতে দেব না। কিন্তু আজ রেলস্টেশন, বিমানবন্দর বিক্রি হচ্ছে।’ কংগ্রেস কিছুই করেনি, তা হলে এই রেলস্টেশন, বিমানবন্দর কারা করল? প্রশ্ন তাঁর। তাঁর কটাক্ষ, উনি গুজরাত মডেলের কথা বলেন। আমরা নেতাজির নামে পুলিশ অ্যাকাডেমি গড়েছি। উনি নিজের নামে স্টেডিয়াম করেছেন। দিদি-মোদী দু’জনেই বিভাজনের রাজনীতি করেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*