প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্মানে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দেওয়া নৈশভোজ বয়কটের ঘোষণা করলেন লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। নৈশভোজে আমন্ত্রিত নন কংগ্রেসের অন্তবর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। যা অপমানকর বলেই মনে করছে শতাব্দী প্রাচীন দলটি। এই কারণেই ২৫ ফেব্রুয়ারির ট্রাম্পের নৈশভোজ বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন অধীর চৌধুরী।
শনিবার বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, দুই বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্টের প্রতিনিধি হিসাবে মুখোমুখি হবেন ট্রাম্প ও মোদী। গণতন্ত্রের বহু মাত্রা রয়েছে। যার অন্যতম শালীনতা এবং শিষ্টাচার। প্রধানমন্ত্রী যখন আমেরিকা গিয়েছিলেন সেই সময় হাউডি মোদী-তে সেদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের প্রতিনিধিরা ছিলেন। কিন্তু ট্রাম্পের নৈশভোজে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী আমন্ত্রণ পাননি। মোদীর প্রতি কটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে অধীর জানান, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অভিধানে গণতন্ত্রের অর্থ বদলে গিয়েছে। এখন শুধুই মোদী শো। যেন ভারত মানেই মোদী।
অধীরবাবু আরও বলেন, কংগ্রেস ১৩৪ বছরের রাজনৈতিক দল। বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশেই এই দলের নেতারা স্বীকৃত। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্মানে যে নৈশভোজের আয়োজন রাষ্ট্রপতি করেছেন তাতেই আমন্ত্রিত নন সোনিয়া গান্ধী। যা অপমানকর। তাই ওই নৈশভোজ প্রত্যাখ্যান করা ছাড়া আমার কোনও উপায় নেই।
ট্রাম্পের ভারত সফরকে কটাক্ষ করেন এই কংগ্রেস সাংসদ। বলেন, ট্রাম্প কী ভগবান যে তাঁকে আমন্ত্রণ জানাতে ৭০ লক্ষ মানুষের সমাগম হবে। এই দেশে তিনি নিজের স্বার্থে আসছে। এখানে এসে ট্রাম্প বাণিজ্য চুক্তিও করবে না। এখানে সে শুধু আমেরিকার স্বার্থে আসছে। আমাদের খুশি করতে এখানে তিনি আসছেন না। পাশাপাশি ট্রাম্পকে বিক্রেতা ও মোদীকে ক্রেতা হিসাবেও বর্ণনা করেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ।
২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারতে সফরে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর সঙ্গে থাকবেন স্ত্রী মিলানিয়া ট্রাম্প। সফরের প্রথম দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাতে পৌঁছাবেন তাঁরা। মোতেরা স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করবেন প্রেসিডেন্ট। সেখানেই তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত থাকবেন ৭০ লক্ষ মানুষ। বুধবার দিল্লি পৌঁছাবেন ট্রাম্প। সফরের আগে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি হবে না বলে ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট। পরে অবশ্য বলেন, ভারত-আমেরিকার মধ্যে অল্প পরিমাণে বানিজ্য চুক্তি হবে।
Be the first to comment