রাজ্যে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থানে উদ্যোগী উত্তরপ্রদেশ সরকার। ইতিমধ্যেই নীতি চূড়ান্তকরণের কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লকডাউনের জেরে প্রায় ২০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে ফিরতে পারেন। ইতিমধ্যেই এঁদের অনেকেই রাজ্যে ফিরে এসেছেন। এইসব পরিযায়ীদের সুবিধার্থেই যোগী সরকারের এই প্রয়াস বলে জানানো হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে রাজ্য সরকারি আমলাদের বৈঠকের পরই নির্দেশিকায় প্রকাশ করা হয়। সেখানে উল্লেখ, ‘শ্রম সংস্কারের মাধ্যমে প্রায় ২০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের কর্মসংস্থানের জন্য নীতিমালা তৈরি করা হবে। শ্রমিকরা নিজেদের গ্রাম বা শহরেই কাজ পাবেন। কোয়ারেন্টিন সেন্টারে যেসব শ্রমিকরা রয়েছেন তাঁদের কাজের দক্ষতা সম্পর্কে তথ্য জানতে চাওয়ার জন্য সরকারি কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় কাজ, ১৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি ও কর্ম নিশ্চয়তা দেওয়া হবে।’
এছাড়াও নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, নতুন বিনিয়োগ করে কর্মসংস্থান নয়, বর্তমানে যেসব ক্ষেত্রে শ্রমিকের প্রয়োজন সেখানেই পরিযায়ীদের কাজে লাগানো হবে। সরকারি নির্দেশিকা মোতাবেক, রেজিমেড বস্ত্র শিল্প, সুগন্ধী, ধূপ, কৃষিজাত পণ্য, খাদ্য প্রক্রিকরণ, গোশালা হা সংশ্লিষ্ট শিল্পক্ষেত্র, ফুল ও উদ্যান পালনে বিপুল কর্ম সংস্থানের সুযোগ রয়েছে। পুরুষদের পাশাপাশি সেল্ফ হেল্প গ্রুপ, ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে মহিলাদরেও কর্মসংস্থান হবে।
ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের প্রধান সচিব নভনীত সেহেগাল সানডে এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘শ্রম আইন কিছুটা শিথিল করা হবে। এই ক্ষেত্রে অন্তত ৫ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। বিনিয়োগকারীদের ঋণ মেলার ক্ষেত্রেও নিয়ম শিথিল হবে। ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প যত বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগও ততই বাড়বে।’
অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এ কুমার আবস্থি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ঠির হয়েছে যে ৯৭ শ্রমিক স্পেশালে করে পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্য়ে ফিরবেন। এছাড়া, প্রতিবেশী তিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে উত্তরপ্রদেশ দিয়ে ৯৮টি ট্রেন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
Be the first to comment